চট্টগ্রাম, ২৭ মার্চ ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলায় হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষার দাবিতে প্রায় ছয় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা। এরপর সেনাবাহিনী-পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন এবং বন বিভাগ মিলে বৈঠক করে ওই এলাকার দেয়াং পাহাড়ে বিচরণ করা তিনটি বন্য হাতি পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টা থেকে কর্ণফুলী টানেল সংযোগ সড়কের কেইপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয়রা। এ সময় সিইউএফএল সড়কের কেইপিজেডের দক্ষিণ গেটে বিক্ষোভ শুরু হলেও পরবর্তীতে তারাও আবার বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগ দেন। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে হাতির তাণ্ডব থেকে তাদের বাঁচাতে সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেয়ার পর সরে যান বিক্ষোভকারীরা।
জানা গেছে, অবরোধের ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন কেইপিজেডের শ্রমিকসহ ওই সড়কে চলাচল করা আনোয়ারা, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, পেকুয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার যাত্রীরা।
এদিকে, বিক্ষোভ চলাকালে সেনাবাহিনীর দুটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পুলিশের টিম আগে থেকেই সেখানে ছিল। সার্বিক পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বন বিভাগ এবং কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা হাতি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা বেলা ১২টার দিকে সরে যান।
কর্ণফুলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ জানিয়েছেন, কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও বন বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বন বিভাগ কোরিয়ান ইপিজেডের ভেতরে পাহাড়ে থাকা তিনটি হাতি সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর করা হবে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাতির আক্রমণে যারা আহত হয়েছেন, তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
গত শনিবার (২২ মার্চ) হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হলে ওই দিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ দিন দীর্ঘ ৭ ঘণ্টা আন্দোলনের পর ৪ দিনের সময় নেয় প্রশাসন। আজ (বৃহস্পতিবার) ৪দিন পূর্ণ হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নামে স্থানীয়রা।