নীলফামারী, ১ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : জেলার উৎসবমুখর মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী-পুলিশের যৌথ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার জেলা সদরের উত্তরা ইপিজেড, পাঁচমাথা মোড়, সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল, শুঁটকির মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসময় বিভিন্ন যানবাহনে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্সবিহীন মোটরসাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি, প্রাইভেট কার ও বাসে তল্লাসী অভিযান পরিচালিত হয়। সেনাবাহিনীর নীলফামারী ক্যম্পের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ওই অভিযানে নীলফামারী ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে উপ-পরিদর্শক সুজন অংশ নেন।
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে। যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যাতে মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে।
তিনি জানান, গত ২মার্চ রমজানের প্রথম দিন থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ কার্যক্রমের আওতায় এক মাসে নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর উপজেলায় ২৫২টি মামলায় আট লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এরমধ্যে নীলফামারী সদরে ১৪২টি মামলায় চার লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় তিন লাখ ৬৫হাজার ৯০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমের ফলে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। চেকপোস্টের মাধ্যমে লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল আরোহী এবং কার-মাইক্রোবাসে অধিক যাত্রী পরিবহনে সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়াও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাসী করা হয়।