ঢাকা, ১২ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, আজকে ফুল বিজু। আমরা পাবর্ত্য এলাকায় উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে তিনটি দিন পালন করি। বিজু উৎসবকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসার জন্য এই আয়োজন। আজকে আমরা এখানে যে ফুল ভাসিয়ে দিলাম, এটার একটাই উদ্দেশ্য যে আমাদের অনাগত দিনগুলো যেন ভালোভাবেই আসে এবং আমাদের সবার মধ্যে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে পারি। তাছাড়া এ সরকারের যে উদ্দেশ্য সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। সকলকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, এগুলো আমরা করে যাচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম যাতে বঞ্চিত না হয় সেজন্যই কাজ করছি।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের সামনে থেকে বৈসুক, সাংগ্রাই, বিজু, চাংক্রান, বিষু, সাংলান উৎসব উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা শেষে তিনি একথা বলেন। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্কে ফুল ভাসানোর মাধ্যমে শেষ হয়।
এসময় সুপ্রদীপ চাকমা আরো বলেন, আজ আমরা অনাড়ম্বরভাবে এ অনুষ্ঠান পালন করছি। এখানে যারা এসেছেন তাদের কালারের বৈচিত্র্য, সমাজের বৈচিত্র্য, ধর্মীয় বৈচিত্র্য রয়েছে। এগুলো আগে ঢাকা শহরে করতে পারতাম না। কখনো সম্ভব ছিলো না। এই বৈচিত্র্যপূর্ণ কালার এটাই আমাদের শক্তি, এই বৈচিত্র্যপূর্ণ পাবত্য চট্টগ্রাম এটাই বাংলাদেশের শক্তি। আমরা চাই এই শক্তি আরো শক্তিমান হোক। আমরা চাই হাতে হাত ধরে এই জাতিকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে। এটাই আজকের দিনের প্রত্যাশা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল খালেক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, খুমিসহ আরো অন্য যারা বসবাস করছেন, তাঁদের জন্য আজ বিশেষ দিন। আজকের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের উজ্জীবিত এবং উদ্বেলিত করেছে।
চাকমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান আনন্দ-উৎসব বিজু। ১২ এপ্রিল পালন করা হয় ফুল বিজু। তাদের বিশ্বাস এই ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পুরোনো বছরের গ্লানি মুছে গিয়ে নতুন বছর বয়ে আনে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি। ফুল বিজু উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, ফুল ভাসানো, এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এছাড়া ঢাকায় অবস্থিত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংগঠনগুলোর নেতা ও সদস্যরা অংশ নেন।