বাগেরহাট, ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস): ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জেলার নয়টি শহীদ পরিবারে আর্থিক অনুদানের হিসেবে ১৮ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়েছে।
আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রত্যেক শহীদ পরিবারের সদস্যের হাতে ২ লাখ টাকা করে মোট ১৮ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান।
তিনি সদর উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামের শহীদ আলিফ আহমেদ, গোপালকাঠি গ্রামের শহীদ আলমগীর মোল্লা, জেলার চিতলমারী উপজেলার হিজলা মাঠ পাড়া গ্রামের শহীদ ছাব্বির মল্লিক, চর চিংগুড়িয়া গামের শহীদ জসিম ফকির, মোড়েলগঞ্জ উপজেলার নিশান বাড়িয়া হরতকিতলা গ্রামের শহীদ মো. মাহফুজুর রহমান, পশ্চিম বহর বুনিয়া গ্রামের শহীদ শাহরিয়ার আলভি, মোল্লাহাট উপজেলার বুড়িগাংনি গ্রামের শহীদ বিপ্লব শেখ, মোংলা উপজেলার কচু বুনিয়া গ্রামের শহীদ শাহীন হাওলাদার, শেওলা বুনিয়া গ্রামের শহীদ আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীসহ মোট নয়টি শহীদ পরিবারের প্রতি অভিভাবক, স্ত্রীদের হাতে এই চেক তুলে দেন। এছাড়াও অন্যান্য উপহার সামগ্রী প্রদান করেন।
শুরুতে সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
এর আগে জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, জুলাই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে নতুন আধুনিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলেই জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে এবং দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। এজন্য সবাইকে একযোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
নয়টি শহীদের নামে সড়ক ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করা হয়।
এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার এটি এম আকরাম হোসেন তালিম, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সমন্বয়ক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ সালাম, জামায়াতে ইসলামী বাগেরহাট জেলা আমির মাওলানা রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক ডাক্তার ফকরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আরিফুল ইসলাম ও এডভোকেট ওয়াদুদ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন সহকারি কমিশনার মির্জা গোলাম সাবরু।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি।