ঢাকা ১৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের আবেদন বিবেচনা করার জন্য হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। একই সাথে ওই নির্বাচনে নিজেকে খুলনা সিটির মেয়র ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি এ দাবি জানান।
সিইসির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এসএম শফিকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে যতটুকু ভোট হয়েছে বা গণনা হয়েছে, এই ভোটে আমিই বিজয়ী হয়েছি।
হাইকোর্ট তার আবেদন ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির আদেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সিইসির সাথে দেখা করেছি, কথা বলেছি। উনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, আইনের যে ব্যাখ্যা আছে, এই আইনের ব্যাখ্যা অনুযায়ী আমরা কাজ করবো।’
‘আপনি কি চান’ সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘চাওয়াটা হলো, আমি জয়ী হয়েছি, এটাই চাওয়া, এটা ঘোষণা দেওয়ার জন্য।
শফিকুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার চলে যাওয়ার পরে আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব এবং এলজিআরডি সচিবের কাছে পৃথকভাবে দরখাস্ত করি। ২০২৩ সালে যে ভোট হয়েছে সেটা গণনা করলে আমি জয়ী হব।
সিইসির কাছে আবেদনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিক লিখেছেন, কেসিসি নির্বাচন ২০২৩ এ তিনি স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী ছিলেন এবং প্রতীক ছিল টেবিল ঘড়ি। ভোটের দিন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ব্যাপক ভোট জালিয়াতি, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, ভোটারদের প্রতি হুমকি, হয়রানি এবং প্রশাসনিক সীমাহীন নিপীড়নের কারণে অধিকাংশ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেনি এবং ভোট দিতে পারেনি। তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বহুবার অভিযোগ করেছি। যার কোন কার্যকরী পদক্ষেপ সে সময় রিটানিং অফিসার (খুলনা) নেয়নি।
ইভিএম পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে নৌকার প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেককে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। এটা ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও অযৌক্তিক। তদন্ত সাপেক্ষে দেখলে এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যাবে।’ পূনঃতদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
২০২৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আ. আউয়াল হাতপাখা প্রতীকে ভোট পান ৬০ হাজার ৬৪টি।
অন্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙল প্রতীকে শফিকুল ইসলাম মধু পান ১৮ হাজার ৭৪ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পান ছয় হাজার ৯৬ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৭ হাজার ২১৮ ভোট।