যশোরে কোরবানির জন্য একলাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি পশু প্রস্তুত 

বাসস
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ১৬:২২
ছবি : বাসস

মো. সাইফুল ইসলাম

যশোর, ১৮ মে ২০২৫ (বাসস): জেলায় এবার কোরবানির জন্য খামারি ও কৃষকরা মোট একলাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি পশু প্রস্তুত করেছেন এবং চাহিদা রয়েছে ৯৬ হাজার পশুর। ফলে চাহিদার তুলনায় ১৯ হাজার পশু বেশি আছে। উদ্বৃত্ত এসব পশু বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে যশোর জেলায় খামারি ও কৃষকরা মোট একলাখ ১৪ হাজার ৫৭৪টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এরমধ্যে গরু ৩৫ হাজার ৩৩৮টি, ছাগল ৭৮ হাজার ৫২৮টি এবং ভেড়া ৫৮৩টি।

জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা বলছেন, যশোর জেলায় এবার কোরবানির পশুর চাহিদা ৯৬ হাজার। ফলে গতবারের চেয়ে এবার পশুর সংখ্যা কিছুটা কম হলেও চাহিদার তুলনায় ১৯ হাজার বেশি আছে। 

সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন বলেন, যশোরে এবার পর্যাপ্ত কোরবানির পশু রয়েছে। খামারি ও কৃষকরা যেমন তাদের পশুর ভাল দাম পাবেন, ক্রেতাদেরও তা ক্রয় সক্ষমতার মধ্যে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

তিনি জানান, প্রথম থেকেই তারা খামারিদের উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন তারা যেন কাঁচা ঘাস খাইয়ে গরু-ছাগল মোটাতাজা করেন। এতে গরু-ছাগল প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে মোটা-তাজা হয়, খরচও কম হয়। অন্যদিকে দানাদার খাবার খাওয়ালে খরচ অনেক বেড়ে যায়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুল হক জানান, জেলার আট উপজেলায় নিবন্ধিত খামারের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৩টি। এর বাইরে ১৪ হাজার ১৩৫ জন কৃষক বাড়িতে গবাদিপশু পালন করেন।

তিনি জানান, যশোর জেলার আট উপজেলার মধ্যে বাঘারপাড়ায় দুইহাজার ৭৯৯ টি পশু, চৌগাছায় দুই হাজার ৬০৫ টি পশু, মণিরামপুরে দুইহাজার ৫৩০ টি পশু, কেশবপুরে একহাজার ৪০৩ টি পশু, সদর উপজেলায় একহাজার ৩৪০ টি পশু, ঝিকরগাছায় একহাজার ৩২০টি পশু, শার্শায় একহাজার ২৯৫ টি পশু এবং অভয়নগরে ৮৪৩টি খামার রয়েছে।

এসব খামারিদের সাথে বিভিন্ন সময়ে বৈঠক করে তাদের সচেতন করা, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে ভিটামিন ও ভ্যাকসিন দেওয়াসহ প্রয়োজনীয় নানা সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরও জানান, এবার কোরবানির পশুর হাটে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে।

সদর উপজেলার রামনগর এলাকার আতিফা অ্যাগ্রো ফার্ম-এর ব্যবস্থাপক নাঈমুর রহমান জানান, এবার তাদের খামারে ৩২টি ষাঁড় রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটির ওজন ৬শ’ থেকে ৭৫০ কেজি পর্যন্ত। ঘাস, ভুষি ও ভুট্টা খাইয়ে তারা এগুলোকে মোটাতাজা করেছেন। এবারের ঈদে এগুলোর ভাল দাম পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। 

চৌগাছা উপজেলার হাকিমপুর গ্রামের খামারি ঝন্টু বিশ্বাস জানান, তার খামারে ৩৯টি গরু ও ১৪টি ছাগল আছে। সবগুলোই এবারের কোরবানির হাটে তোলার জন্য প্রস্তুত করেছেন। এবার ভাল দাম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।

বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া গ্রামের খামারি শামীম রেজার ৫১টি গরু রয়েছে। সবগুলোই এবারের কোরবানির হাটে বিক্রির উপযোগী। তিনি বলেন, গরুর খাবারের দাম হওয়ায়  লালন-পালনের খরচ বেড়েছে। তিনি লাভের আশা করেন। 

যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানির পশু বিক্রিতে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেজন্য প্রতিটি হাটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। প্রয়োজনে অস্থায়ী হাট বসানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সাতক্ষীরায় ৩ হাজার বস্তা ভেজাল মৎস্য খাবার জব্দ
মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের ১১ নেতাকর্মী আটক
বন্দর কর্মকর্তা বরখাস্তের বিষয়ে আংশিক তথ্য প্রচার শনাক্ত: বাংলাফ্যাক্ট
নিয়োগে অনিয়মসহ নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে দুদকের অভিযান
চট্টগ্রামে দুই ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার, স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে দুদকের অভিযান
দূষণের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযান: জরিমানা ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন
২০২৫-২৬ অর্থবছরের ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন 
রাশিয়া রেকর্ড সংখ্যক ড্রোন হামলা চালিয়েছে : ইউক্রেন
নিজের রেকর্ড ভেঙে এভারেস্টে ১৯তম বার উঠলেন ব্রিটিশ পর্বতারোহী
১০