ঢাকা, ২০ জুন, ২০২৫ (বাসস) : আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান শুক্রবার তুরস্কে এক বিরল সফরে যাচ্ছেন। এই সফরকে ইয়েরেভান আঞ্চলিক শান্তির দিকে একটি ‘ঐতিহাসিক’ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
উল্লেখ্য, তুরস্ককে আর্মেনিয়ার প্রধান শত্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ইস্তানবুল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
আর্মেনিয়া ও তুরস্ক কখনও আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেনি এবং ১৯৯০ সাল থেকে তাদের সীমান্ত বন্ধ রয়েছে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় অটোমান সাম্রাজ্যে আর্মেনীয়দের ওপর চালানো গণহত্যার কারণে দু’দেশের মধ্যেই সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এই নৃশংসতাকে আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান গণহত্যা বলে অভিহিত করে। তবে, তুরস্ক এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
তুরস্ক তার ঘনিষ্ঠ মিত্র, তুর্কি ভাষাভাষী আজারবাইজানকে আর্মেনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতে সমর্থন দিয়ে আসছে।
আর্মেনিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার অ্যালেন সিমোনিয়ান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগানের আমন্ত্রণে পাশিনিয়ান তুরস্ক সফর করছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক সফর, কারণ আর্মেনিয়ার কোনও রাষ্ট্রপ্রধানের এটিই প্রথম তুরস্ক সফর। এই সফরে সমস্ত আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে’।
এক আর্মেনীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেছেন, ‘আজারবাইজানের সঙ্গে যুদ্ধের ঝুঁকি এখন খুবই কম, আর সেটিকে পুরোপুরি দূর করতে আমাদের কাজ করতে হবে। তুরস্কে পাশিনিয়ানের সফর সেই পথেই একটি পদক্ষেপ।’
তিনি আরও জানান, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের প্রচেষ্টা এবং ইরান-ইসরাইল সংঘাতের আঞ্চলিক প্রভাব, মূলত এই দুই বিষয় নিয়েই নেতারা আলোচনা করবেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার পাশিনিয়ানের সফরের একদিন আগে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এরদোগানের সাথে আলোচনার জন্য তুরস্ক সফর করেন এবং তুর্কি-আজারবাইজানি জোটকে ‘কেবল আঞ্চলিক নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’ হিসেবে প্রশংসা করেন।
এরদোগান ‘আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার’ প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।