জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বৃদ্ধি নগর ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলছে : কেসিসি প্রশাসক

বাসস
প্রকাশ: ২০ মে ২০২৫, ২১:১৪
মঙ্গলবার কেসিসির জিআইজেড অডিটোরিয়ামে ‘সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় কেসিস প্রশাসক। ছবি : বাসস

খুলনা, ২০ মে, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার বলেছেন, খুলনা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলির মধ্যে অন্যতম। 

তিনি বলেন, ‘বদ্বীপ নিম্নাঞ্চলে অবস্থিত একটি উপকূলীয় শহর হিসেবে খুলনা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘন ঘন বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও লবণাক্ততা বৃদ্ধির ঝুঁকির সম্মুখীন। এই উপকূলীয় অঞ্চলে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, জলবায়ু উদ্বাস্তুর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যা নগর ব্যবস্থাপনাকে জটিল করে তুলছে।’

দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায়, আজ মঙ্গলবার কেসিসির জিআইজেড অডিটোরিয়ামে চলমান ‘সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কেসিসি প্রশাসক সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে পরামর্শ করে এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে উচ্চমানের এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পটি সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন।

সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফিরোজ সরকার বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জলাবদ্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই অঞ্চলে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, এই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলির মধ্যে সমন্বিত কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্পটি সম্পন্ন হলে দৈনন্দিন বর্জ্য মূল্যবান সম্পদে রূপান্তরিত হবে। 

প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকার এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) এর অধীনে কেসিসির সালুয়া ল্যান্ডফিল সাইটে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এডিবি ঋণ পর্যালোচনা মিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রকল্প পরিচালক, প্রকল্প কর্মকর্তা এবং ঠিকাদারী সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সালুয়া ল্যান্ডফিল সাইটে ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট নির্মাণাধীন রয়েছে, যার লক্ষ্য বর্জ্য থেকে কম্পোস্ট, বায়োগ্যাস এবং ডিজেল তৈরি করা।

এছাড়াও, ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে কুয়েট অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের প্রায় ৫৫ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং এটি এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এটি চালু হলে, প্ল্যান্টটি প্রতিদিন ৩৭৫ টন বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করতে সক্ষম হবে।

কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কর তাজুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান এবং নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান এবং শেখ মো. মাসুদ করিম, দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হামিদুল হক, প্রকল্প কর্মকর্তা আবদুল¬াহ আল মামুন, এডিবি মিশন সেফগার্ড অফিসার (পরিবেশ), নাহিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের সাঁড়াশি অভিযান ৬৫ জন গ্রেফতার
আওয়ামী লীগ নেতা রানার অপহরণের বিবরণ ভিত্তিহীন : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বিশেষ অভিযানে ১৯ জন গ্রেফতার 
ভোলাগঞ্জে পাথর লুটপাটে জড়িত ১৪ জনের কারাদণ্ড
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ ব্যক্তির মৃত্যু
সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
নির্বাচন কমিশনের সামনে এনসিপির বিক্ষোভ সমাবেশ কাল
টিএনজেড ও মাহমুদ গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রি করে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা হবে : শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা
৪৩তম বিসিএসে ১৬২ জনকে নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি  
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত নরওয়ের
১০