ঢাকা, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে সরকারের চলমান কঠোর অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট-এর নেতৃত্বে ঢাকা ও মুন্সিগঞ্জে একাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে।
এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ গ্যাসের অপচয় রোধের পাশাপাশি অবৈধ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুনের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে চারটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও একজন আবাসিক গ্রাহককে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো বালুয়াকান্দি এলাকার নাইট মুন হোটেল ও রেস্টুরেন্ট, মধ্য ভাটেরচরের খুলনা মিষ্টি ভান্ডার ও হোটেল, হাজি রাজা প্লাজা এবং আনারপুরার ফুড ভিলেজ হাইওয়ে রেস্তোরাঁ। অভিযানের সময় প্রায় ৫০ ফুট পাইপলাইন অপসারণ করা হয় এবং ২৮টি স্টার বার্নারসহ বিভিন্ন অবৈধ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এই অভিযানের ফলে দৈনিক প্রায় ৬০৪ ঘনমিটার গ্যাসের অপচয় রোধ করা সম্ভব হয়েছে, যার মাসিক সাশ্রয় প্রায় পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা। অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের দায়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
এছাড়া, এক লাখ ৯৪ হাজার টাকা বিল বকেয়া থাকায় একজন আবাসিক গ্রাহকের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়।
একই দিনে মিরপুর এলাকায় পেট্রোবাংলার কেন্দ্রীয় ভিজিলেন্স টিম এবং তিতাসের টিমের সমন্বয়ে একটি যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকারের নেতৃত্বে পরিচালিত এই অভিযানে ১৪টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়।
এর মধ্যে সুপার জিন্স ওয়াশিং, জি কেয়ার বিডি ওয়াশিং, ডেনিম এক্সপ্রেস অ্যান্ড ক্লোদিং ওয়াশিং, এবং এস. এস. ইন্টারন্যাশনাল (ওয়াশিং কারখানা) সহ ৪টি প্রতিষ্ঠানের অবৈধ গ্যাস সংযোগের সোর্স লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এই কারখানাগুলো থেকে বিভিন্ন অবৈধ সরঞ্জাম যেমন রেগুলেটর, এমএস পাইপ, জিআই পাইপ এবং কম্প্রেসর জব্দ করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট লোড ছিল প্রায় ১২ হাজার নয়শ ঘনফুট/ঘণ্টা।
সফল এসব অভিযান সরকারের অবৈধ গ্যাস ব্যবহার রোধ এবং সরকারি রাজস্ব নিশ্চিত করার দৃঢ় অঙ্গীকারই প্রমাণ করে। এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতে আরও জোরালোভাবে চলবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।