খুলনা, ২৬ আগস্ট ২০২৫ (বাসস): খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প লবণাক্ত পানিতে গলদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সংক্রান্ত গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ে কর্মশালাটি সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিন বিভাগে পরিচালিত ‘ইন্টিগ্রেটেড মাল্টি-ট্রফিক অ্যাকুয়াকালচার (আইএমটিএ) বেইজড ইকোলজিক্যাল এনরিচমেন্ট ফর ইমপ্রুভিং প্রোডাকশন পারফরম্যান্স অব জায়ান্ট ফ্রেশওয়াটার প্রন (ম্যাক্রোব্রাকিয়াম রোজেনবার্গি) অ্যাট লো স্যালাইনিটি’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন বিষয়ক কর্মশালা এটি।
ওয়ার্ল্ডফিশের এশিয়া-আফ্রিকা ব্লুটেক সুপারহাইওয়ে প্রজেক্টের অর্থায়নে গবেষণাটি পরিচালিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অ্যাকুয়াকালচারের সম্ভাবনা অপরিসীম। একাধিক জলজ প্রজাতির সমন্বয়ে পরিবেশবান্ধব চাষপদ্ধতি (আইএমটিএ) কেবল উৎপাদন বাড়াবে না, বরং পরিবেশ রক্ষায়ও কার্যকর ভূমিকা রাখবে। এ প্রযুক্তি দ্রুত গবেষণা থেকে মাঠপর্যায়ে পৌঁছানো জরুরি।
তিনি আরও বলেন, লবণাক্ত পানিতে বাগদা চাষ পরিবেশের জন্য হুমকি ছিল। এখন বিকল্প হিসেবে ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। এই স্বল্প লবণাক্ত পানিতে যদি গলদা চিংড়ি চাষ সম্প্রসারিত হয়, তবে তা দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে। এ ধরনের গবেষণায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাইকগাছাস্থ দ্বিতীয় ক্যাম্পাসকেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
এফএমআরটি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. গোলাম হোসেন।
কর্মশালায় প্রকল্পের প্রধান গবেষক, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. লিফাত রাহী তার উপস্থাপনায় আইএমটিএ পদ্ধতির কার্যকারিতা, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বল্প লবণাক্ত পানিতে গলদা চিংড়ি চাষের সুবিধাসমূহ বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।
ওয়ার্ল্ডফিশ ও এশিয়া-আফ্রিকা ব্লুটেক সুপারহাইওয়ে প্রজেক্টের বিভিন্ন দিক উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক অশোক কুমার সরকার এবং প্রকল্প মূল্যায়নকারী মো. শওকত আলী। এ কর্মশালায় এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, প্রকল্পের সহ-গবেষষক ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।