রাজশাহী, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবক সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টা হতে পারে মানুষের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষার সর্বোত্তম উপায়।
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি সমাজে নিজেদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সকল স্তরের মানুষের আওয়াজ তোলা উচিত।
আজ মঙ্গলবার সামাজিক পর্যবেক্ষক এবং উন্নয়ন কর্মীরা একটি সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা লক্ষ্য অর্জনে এক সঙ্গে কাজ করারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আজকের সভায় তৃণমূল পর্যায়ে কর্মরত মানবাধিকার কর্মীদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম গঠন করা হয়। বরেন্দ্র উন্নয়ন প্রচেষ্টা (বিইউপি) আজ রাজশাহী শহরের সেফ গার্ডেন রেস্তোরাঁয় ‘হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স’ শীর্ষক শীর্ষক নেটওয়ার্ক সভার আয়োজন করে।
বিইউপির নির্বাহী পরিচালক ফয়জুল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুন্নাহার খাতুন, সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন, গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত ভূমিহীন কৃষক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন এবং অনগ্রসর সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাজ কুমার শাওন।
এছাড়া নাগরিক সমাজের সদস্য, সামাজিক পর্যবেক্ষক এবং প্রেসার গ্রুপের সদস্যরা সভায় যোগ দেন এবং মানবাধিকার রক্ষার বিষয়ে কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা সকলের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিত করার কার্যকর উপায় হতে পারে। এজন্য মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্মিলিতভাবে উন্নতি করা দরকার এবং সামাজিক পর্যবেক্ষকরা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
সভায় বলা হয়, জাতিগতভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সামাজিক ন্যায়বিচার এবং জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকদের জমি, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সুযোগের অধিকার দেওয়া উচিত।
সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে এসে এ লক্ষ্যে এক সঙ্গে কাজ করা উচিত।