চট্টগ্রাম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীরা প্রায় ৫২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন। ৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে অসুস্থ ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার জুস পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান। এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার তাদের দাবির কথা শুনে তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে রোববার আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, তাদের দাবিগুলো আমরা শুনেছি। আগামী রোববার তাদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসব। ৭ দফাগুলো ভালোভাবে পড়েছি। এসব দাবি পূরণে আন্তরিকতার ঘাটতি থাকবে না।
এর আগে বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রক্টর অফিসের সামনে ‘অধিকার সচেতন শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা হলেন- বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র, সঙ্গীত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর চবি শাখার সভাপতি জশদ জাকির, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাংগঠনিক সম্পাদক রাম্রা সাইন মারমা, ইংরেজি বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষার্থী এবং বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ ও দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহজান, মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার।
অনশনরতদের দাবিগুলো হলো- স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে আহতদের তালিকা প্রকাশ ও উন্নত চিকিৎসা, নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসন ব্যবস্থা, আবাসনচ্যুতদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ, চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা ও নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ, দ্বন্দ্ব নিরসনে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন ও তিন মাস পরপর বৈঠক করা, সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা। শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ।