বাগেরহাট, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): শারদীয় দুর্গা উৎসবের আমেজ বইছে গোটা কচুয়াকে ঘিরে। আজ সোমবার হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় দুর্গা উৎসব মহা সপ্তমীকে ঘিরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। জেলার কচুয়া উপজেলায় হিন্দু অধ্যুষিত আন্ধারমানিক, ভাষা, শ্যানপুকুরিয়ায় নানান আয়োজনে পূজা শুরু হয়েছে।
সরকার সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু সম্প্রদায়ের বড় দুর্গা উৎসবকে ঘিরে নানান কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এবার কচুয়ার ৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে গজালিয়ায় ৭ টি, ধোপাখালিতে ২ টি, মঘিয়াতে ৯ টি, কচুয়া সদরে ৫ টি, গোপালপুরে ৫ টি, রাড়ীপাড়ায় ১১টি ও বাধাল ইউনিয়নে ৪ টিসহ মোট ৪৩ টি পূজামণ্ডপ ভক্ত ও দর্শানার্থীদের জন্য উন্মুখ।
সোমবার সকালে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী হাসান এলাকার সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ আন্ধারমানিক সার্বজনীন পূজা মন্দির, বিষারখোলা সার্বজনীন পূজা মন্দির, বারুইখালি, খলিশাখালি, ধলনগর ও শোলারখোলা সার্বজনীন মন্দির পরিদর্শন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শারদীয় দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি আগত দর্শনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতির এক মিলনক্ষেত্র হলো বাংলাদেশ। সরকারের রাষ্ট্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে একাত্ম হয়ে কাজ করছি। পূজা অর্চনা আর দেবী বিসর্জন করা পর্যন্ত মাঠে আছি, থাকবো আপনাদের সাথে।
এ আসনের বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার এটি এম আকরাম হোসেন তালিম, এম এ সালাম, খান মনির, ব্যারিস্টার জাকির হোসেন জানান, সরকারের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরাও মাঠে আছি। কর্মীরা মণ্ডপ পাহারায় আছে। তারেক রহমানের শুভেচ্ছা পৌঁছে দিচ্ছেন এবং নিয়মিত খোঁজ খবর নিতে মনিটরিং সেল গঠন করেছেন বলে বাসসকে জানান।
এম এ সালাম আরও জানান, কোন প্রকার নাশকতার আশংকা নেই। পৃথিবীর মধ্যে শান্তি প্রিয় দেশের নাম বাংলাদেশ। হিন্দু, মুসলমান বৌদ্ধ খ্রিষ্টান সবাই এদেশের মালিক। আর এসব এলাকায় সম্মিলিত ভাবে হিন্দু মুসলমানদের একত্রে বসবাস, যেখানে বিন্দুমাত্র কোন হিংসা বিদ্বেষের কোন অশুভ শক্তির উত্থান কখনও ঘটেনি।