চট্টগ্রামে জেলা পর্যায়ে ১৬ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে-সিভিল সার্জন

বাসস
প্রকাশ: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:২৯
চট্টগ্রাম, ৯ অক্টোবর জেলা পর্যায়ে ১৬ লাখ ৩২ হাজার শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে-সিভিল সার্জন। ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ৯ অক্টোবর ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রামে জেলা পর্যায়ে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৪১ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ লাখ ৩৪ হাজার ৭১ জন এবং কমিউনিটিতে ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৯৭০ জন।

আজ সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, টাইফয়েড জ্বর প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে আগামী ১২ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ কর্মদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসমূহে এবং ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ৮ কর্মদিবস স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রসমূহে ‘টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন (টিসিভি)-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হবে।

এই সময়ে জেলার ১৫ উপজেলার ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে এক ডোজ টাইফয়েড টিকা প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, টিকা পেতে জন্ম নিবন্ধন সনদের তথ্য (১৭ ডিজিট) দিয়ে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। 

তবে এ বয়সী কেউ যদি কোনো কারণে রেজিস্ট্রেশন করতে না পারে, তাকেও টিকা দেওয়া হবে। এই টিকা নিতে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৯ লাখ ৯২ হাজার ৮১ জন শিশু অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। শুক্রবার ও সরকারি ছুটি ব্যতীত নির্ধারিত তারিখে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময়ে এক ডোজ করে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন আরও জানান, জেলার ১৫ উপজেলার ২০০ ইউনিয়নের ৬০০ ওয়ার্ডে ১ হাজার ২১৫ জন প্রশিক্ষিত কর্মী, ১ হাজার ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৬০০ জন প্রথম সারির পরিদর্শক এবং ৬০ জন দ্বিতীয় সারির পরিদর্শক টিকাদান ক্যাম্পেইনে নিয়োজিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, টাইফয়েড জ্বর একটি প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং এর মধ্যে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার জন মৃত্যুবরণ করেন। আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণকারীদের অধিকাংশই দক্ষিণ এশিয়া ও সাব-সাহারান আফ্রিকায় বসবাসকারী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বের উন্নত দেশসমূহে এই রোগের প্রাদুর্ভাব অনেকাংশে কম হলেও বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে এটি অন্যতম জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. তৌহিদুল আনোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মো. নুরুল হায়দার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসআইএমও ডা. এফ.এম. জাহিদুল ইসলাম এবং কর্ণফুলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন
উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য বিষয়ক দূতের বৈঠক
৩৪ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বগুড়ায় আয়োডিনযুক্ত লবণ আইন বাস্তবায়নে কর্মশালা
পল্লবী ও নিউমার্কেট থানা এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৩০ জন গ্রেফতার 
সূচক ও লেনদেনে ধীরগতি, ডিএসইতে টার্নওভার ৫৩০ কোটি টাকা
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে আদিতমারীতে গণমিছিল ও সমাবেশ
‘গাজা থেকে তোমাদের জন্য ভালোবাসা পাঠাচ্ছি’: ফিলিস্তিনিবাসী
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ১১টি অধ্যাদেশ, তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন
বাংলাদেশ একাদশে নেই শমিত, জামাল
১০