
বগুড়া, ২৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : অনুমোদনের প্রায় দুই যুগ পর দেশের ৫৫তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ববিপ্রবি)।
চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষেই শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে। বগুড়া উপশহরের এক নম্বর রোডের এক নম্বর বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান।
তিনি বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষে দুই বিষয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি করার জন্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদন পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে চারটি ফ্যাকাল্টির অধীনে পাঁচটি বিষয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুই বিষয়ে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর অনুমোদন মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চারটি ফ্যাকাল্টির প্রস্তাবিত বিষয়গুলো হলো, ফ্যাকাল্টি অব স্মার্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে রয়েছে অটোমোবাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ডাটা সায়েন্স বিভাগ। ফ্যাকাল্টি অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর মধ্যে রয়েছে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। ফ্যাকাল্টি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এর মধ্যে রয়েছে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি বিভাগ। এছাড়া ফ্যাকাল্টি অব ফিজিক্যাল সায়েন্স এর মধ্যে রয়েছে কেমিস্ট্রি বিভাগ।
উপাচার্য বলেন, প্রথম ধাপে দুই বিষয়ে ৩০ জন করে মোট ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিষয় চূড়ান্ত হলেই শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ী একাডেমিক ভবন ভাড়া ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের চিঠি প্রস্তুত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদে বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস হয়। ২০২৩ সালে আইনটি কার্যকরের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। তবে দীর্ঘ সময় সব কার্যক্রম কেবল চিঠি চালাচালিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।
চলতি বছরের ৩ জুন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহানকে ববিপ্রবির প্রথম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে গতি আসে।