
ঝালকাঠি, ৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঝালকাঠিতে গ্রাম আদালত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও করণীয় বিষয়ে অর্ধবার্ষিক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. কাওছার হোসেনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা ইয়াসমিন, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লাভলী আক্তার, সহকারী কমিশনার (শিক্ষানবিশ) মো. সোলাইমান হোসেন এবং গ্রাম আদালতের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরও অনেকে।
সভায় জেলার ৩২টি ইউনিয়নের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটররা অংশ নেন। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ বাস্তবায়িত ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্প এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় জানানো হয়, জুলাই ২০২৪ থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত সময়ে ঝালকাঠি জেলায় গ্রাম আদালতে মোট ৭৭৭টি মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে ৬৩০টি মামলা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদে এবং ১৪৭টি জেলা আদালত থেকে পাঠানো। দায়েরকৃত মামলার মধ্যে পুরুষ আবেদনকারী ছিলেন ৫৮৪ জন (৭৫.১৬%) এবং নারী আবেদনকারী ১৯৩ জন (২৪.৮৪%)।
উল্লেখিত সময়ে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৬২৫টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে, যা মোট মামলার ৮০.৪৪ শতাংশ। এসব মামলায় ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২১ হাজার ৯৫০ টাকা। এছাড়া, গ্রাম আদালতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্যানেল সদস্য হিসেবে ৪৮ জন নারী অংশ নিয়েছেন, যা মোট সদস্যের ১৩.৬৭ শতাংশ। বিচারপ্রাপ্ত নারী আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ১৫০ জন (৭৭.৭২%)।
জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান বলেন, আদালতে যে বিচার করে, সে কিন্তু কোনো পক্ষের নয়। গ্রাম আদালতও তেমনি, এখানে বাদী-বিবাদী উভয়ের প্রতিনিধি থাকে।
এটি মূলত সালিসি ধাঁচের বিচারব্যবস্থা। আপনাদের উচিত এমনভাবে মামলা নিষ্পত্তি করা, যাতে মানুষ উৎসাহী হয়। অন্তত ৫০ শতাংশ মামলার নিষ্পত্তি নিশ্চিত করতে হবে, আর সম্ভব হলে ৭০ থেকে ১০০ শতাংশ লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা করতে হবে।