
বগুড়া, ২৪ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বগুড়ায় নববধূ আফিয়া আকতার শম্পাকে (১৯) হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার রাত ৮টার দিকে শহরের কৈইপাড়া থেকে শম্পার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকাবাসী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত শম্পা কাহালু উপজেলার মুরইল পোড়ামারা গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে প্রায় এক মাস আগে শম্পা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে রিয়াজুল জান্নাতকে। বিয়ের পর তারা শহরের কৈইপাড়ায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু কিছু দিনের মধ্যে রিয়াজুল শম্পার বাবার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল যৌতুক চেয়ে চাপ দিতে থাকেন। এতে শম্পা অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। যৌতুকের জন্য তাকে মারধর করা হয়। এর জেরে রোববার রাতে শম্পাকে তার স্বামী গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
শম্পার চাচা বলেন, হত্যার ২০ মিনিট আগে শম্পা তার বাবাকে ফোন দিয়ে বলেছিল তার স্বামী তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছে। তুমি আমাকে বাঁচাও। এরপর তারা কৈইপাড়ায় ওই ভাড়া বাড়িতে এসে দেখেন শম্পার লাশ পড়ে আছে। পরে স্বজনদের চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে বাড়ির জানালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় শম্পার লাশ দেখতে পান। এলাকাবাসী শম্পাকে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করে রাখে।
এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেয়। সেইসঙ্গে রিয়াজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ওসি মো. হাসান বাসির জানান, এলাকাবাসী শম্পার মরদেহ জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় নামান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় স্বামী রিয়াজুল জান্নাতকে আটক করা হয়েছে।