এনা ট্রান্সপোর্টের এনায়েতের বিরুদ্ধে সিআইডির ১০৭ কোটি টাকার মামলা

বাসস
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮:২৪
কোলাজ : বাসস

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা সড়ক পরিবহন সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও এনা ট্রান্সপোর্টের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে পরিবহন সেক্টরে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করে অর্জিত অর্থ মানিলন্ডারিং করার অভিযোগে ১০৭ কোটি টাকার মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। 

প্রাথমিক অনুসন্ধানে এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার প্রমাণ পাওয়ার পর সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গতকাল ২৫ নভেম্বর রমনা থানায় মামলা দায়ের করে।

আজ বুধবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয় ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতন পর্যন্ত টানা ১৬ বছর তিনি ধারাবাহিকভাবে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি সংগঠনের সব গুরুত্বপূর্ণ পদ নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখেন এবং পরিবহন সেক্টরে একক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- তার চাঁদাবাজি কার্যক্রমগুলো ছিল অত্যন্ত সংগঠিত ও ভয়ভীতি-ভিত্তিক। এনায়েত উল্লাহ ও তার সহযোগীরা সিন্ডিকেট গড়ে বিভিন্ন অজুহাতে বাস মালিকদের কাছ থেকে প্রকাশ্য চাঁদা আদায় করতেন।  দৈনিক চাঁদার পাশাপাশি মাসিক চাঁদাও নেওয়া হতো, এবং নতুন বাস কোনো রুটে নামাতে হলে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দিতে হতো। নতুন বাস কেনার সময় মালিকদের সেই বাসের একটি ভাগও এনায়েতকে দিতে বাধ্য করা হতো, না হলে বাসটি সড়কে চলতে পারত না। এর ফলে অনেক কোম্পানি বিক্রির সময় মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে চাঁদা পরিশোধ করত।

ঢাকার প্রতিটি বাস টার্মিনাল তার নিয়ন্ত্রণে ছিল, শুধুমাত্র রাজধানী নয়, সারা দেশের বাস, মিনিবাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতিগুলো থেকেও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করা হতো। সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে তিনি পরিবহন সেক্টরে ত্রাসের রাজত্ব চালাতেন।

সিআইডি জানায় অনুসন্ধানকালে ধানমণ্ডির দু’টি ফ্ল্যাট এবং রূপগঞ্জের দু’টি প্লট বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল মহানগর জজ আদালত, ঢাকা-এর আদেশে ক্রোক করা হয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা, একই আদালতের আদেশে তাদের নামে থাকা ৫৩টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করা হয়, যার মোট স্থিতি প্রায় ১১০ কোটি টাকা, উভয় আদেশই ৩ জুলাই কার্যকর করা হয়।

সিআইডি জানায়, ‘স্ট্রাকচারিং’ বা ‘স্মার্ট লেয়ারিং’ কৌশল ব্যবহার করে চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্জিত বিপুল অবৈধ অর্থ নানা ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ঘুরিয়েু-ফিরিয়ে মোট ১০৭ কোটি ৩২ লাখ ৬১ হাজার ৭৪ টাকা মানিলন্ডারিং করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
চট্টগ্রামে দুদিনব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
পিরোজপুরে দুর্যোগে করণীয় বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মশালা
নিয়ম লঙ্ঘনকারী সার ডিলারদের বাদ দেয়া হবে: কৃষি উপদেষ্টা
এয়ারক্রাফট সংযোজনের সঙ্গে বাড়ছে পাইলট ও ইঞ্জিনিয়ার চাহিদা : চুয়েট ভিসি
ফেনীতে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ ও প্রদর্শনী
তারুণ্যের উৎসব দেশের তরুণদের উজ্জীবিত করেছে : সাগর
বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
আগামীকাল শহীদ ডা. মিলন দিবস
হাসিনার প্রত্যর্পণে দিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা
ভূমিকম্প পরবর্তী ঢাবির বিভিন্ন আবাসিক হলের কারিগরি নিরীক্ষণ ও মূল্যায়ন অব্যাহত
১০