
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : আগামীকাল ২৭ নভেম্বর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন দিবস পালন করা হবে। এটি তাঁর শাহাদাতের ৩৫তম বার্ষিকী।
১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় তৎকালীন সরকারের সমর্থিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি)-এর শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন নিহত হন। তিনি তখন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ডা. মিলনের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন এক গণবিক্ষোভে রূপ নেয়, যা শেষ পর্যন্ত স্বৈরশাসকের পতন ও দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ সুগম করে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ডা. মিলনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
বাণীতে তারেক রহমান বলেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের এক সাহসী সৈনিক ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সাহসী শহীদ ডা. মিলনের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করেছিল। তার আত্মোৎসর্গের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ নয় বছরের এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘স্বৈরতন্ত্রকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠাই ছিল ডা. মিলনের অটল অঙ্গীকার। নিজের রক্তের বিনিময়ে তিনি দেশে গণতন্ত্রের জয় নিশ্চিত করেন। তাঁর এই পথ অনুসরণ করেই স্বৈরশাসনের পতন ঘটে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছিল।’
প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে ডা. মিলনের কবর জিয়ারত, ফাতেহা পাঠ এবং বিশেষ দোয়া।