
ঢাকা, ২৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিস্মরণীয় নাম।
শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় ফখরুল বলেন, ‘শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অবিস্মরণীয় নাম। ডা. মিলনের আত্মত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনীর গুলিতে ডা. মিলন শহীদ হন। তার শাহাদাত বার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বৈরশাসনের শৃঙ্খল থেকে গণতন্ত্রকে উদ্ধার করার চেষ্টাকালে ডা. মিলন শহীদ হয়েছিলেন। সকল কর্তৃত্ববাদী ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস।’
তিনি আরো বলেন, ভয়াবহ ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের ১৬ বছরের নিপীড়ন-নির্যাতনের শাসনে জনগণের ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা পর্যন্ত হরণ করা হয়েছিল।
ফখরুল বলেন, জনগণের প্রাণ ও সম্পদের ন্যূনতম নিরাপত্তাও ছিল না। বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা ছিল বর্ণনাতীত।
দেশের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০২৪ সালের আগস্টের ঐক্যবদ্ধ ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ স্বৈরশাসন থেকে মুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো ওঁত পেতে রয়েছে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
তিনি বলেন, ‘এখন দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, তাই ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো সফল হবে না। শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ আমাদের সবসময় অনুপ্রাণিত করবে। দৃঢ় ভিত্তির ওপর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।’