শুভব্রত দত্ত
বরিশাল, ২২ মে ২০২৫ (বাসস) : বিভাগের ৬ জেলায় ঈদুল আযাহাকে সামনে রেখে চলছে জমজমাট প্রস্তুতি। নিজ নিজ খামারের পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। এসব পশু বিক্রি করে একটু ভাল মুনাফার আশা করছেন তারা।
সরেজমিনে বরিশালের একাধিক পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, চলতি বছর শত ভাগ কোরবানিযোগ্য দেশীয় পশু দিয়েই চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশি পশুর তেমন কোনো প্রয়োজন পড়বে না। বিভিন্ন হাটে ও খামারগুলোতে দেশীয় গরুর পাশাপাশি সাহিওয়াল, দেশাল, অস্ট্রেলিয়ান, পাকিস্তানি ও ইন্ডিয়ান একাধিক জাতের গরু থাকলেও দেশীয় গরুর চাহিদা বেশি।
খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভিনদেশি গরু আমদানি না করা হলে স্থানীয় গরুর দাম কিছুটা বাড়বে। একইসাথে দেশীয় গরু ও ছাগল বেশি বিক্রি হবে। এতে স্থানীয় খামারিরা লাভবান হবেন।
বরিশাল বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি বছর বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৫২টি কোরবানিযোগ্য পশুর চাহিদা রয়েছে। বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩টি। বিভাগে সর্বমোট চাহিদার চাইতে ৬০ হাজার ৪’শ ৯৫টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।
এর মধ্যে ভোলা জেলায় বাড়তি প্রস্তুত রয়েছে ১২ হাজার ৫’শ ১৬টি, ঝালকাঠি জেলায় ৫ হাজার ৫’শ ১৬টি, পিরোজপুর জেলায় ৪ হাজার ৯’শ ৮২টি, বরগুনা জেলায় ৬ হাজার ৯’শ ৯১, পটুয়াখালী জেলায় ৫ হাজার ১’শ ৮৩টি ও বরিশাল জেলায় প্রস্তুত রয়েছে ৩০ হাজার ৫’শ ৯৭টি।
বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাসসকে বলেন, ‘খামারগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। কেউ যাতে হরমোন বা ক্ষতিকর উপায়ে পশু মোটা তাজা না করে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় ভেটেরিনারি টিম কাজ করছে এবং পশুর হাটগুলোতেও স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি জানান, এবার কোরবানির জন্য বিদেশি গরুর প্রয়োজন হবে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি, তাই দেশীয় গরু দিয়েই শত ভাগ চাহিদা পূরণ করা যাবে।
তিনি আরো জানান, বরিশাল বিভাগে এ বছর প্রায় ৩ ’শ ৫০টি কোরবানির পশুর হাট বসবে। এসব হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ১ ’শ ৬০টির বেশি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম দায়িত্ব পালন করবে। এসব টিম হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ অন্যান্য সেবা দেবে।