আমলাতন্ত্রকে ডিসিপ্লিনে আনা চ্যালেঞ্জ: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

বাসস
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:৩৫
সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। ছবি : পিআইডি

ঢাকা, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তি আসে যায় কিন্তু আমলারা আসে এবং থেকে যায়। কিভাবে এই আমলাতন্ত্রকে ডিসিপ্লিনড করা যায়, গুড গভার্ন্যন্সে আনা যায় সে বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এটি আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।’  

আজ শনিবার দুপুর তিনটায় রাজধানীর আগাঁরগাও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক সিম্পোজিয়ামে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এসব কথা বলেন। 

শ্বেতপত্র এবং অতঃপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও জাতীয় বাজেট শীর্ষক সিম্পোজিয়ামমের তিন নম্বর সেশনে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা। সিম্পোজিয়মটি আয়োজন করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।  

উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনারা জানেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ভাতাগুলো গুরুত্বপূর্ণ। ভাতার ভেতরে এত ভুত বসে আছে, দূর্নীতি বসে আছে তা আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বুঝলাম। এমন পরিস্থিতিতে আমি না পারছি ভাতাগুলো চালু রাখতে না পারছি বন্ধ করতে। চালু রেখেই আমার কারেকশন প্রসেসে যেতে হয়েছে। ইন্টারনাল প্রসেসগুলোর ভেতরে স্বচ্ছতা আনা জরুরি।’ 

মন্ত্রণালয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে নিজ মন্ত্রণালয়ে তিনটি কাজ করতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার দায়িত্বে থাকা দুটি মন্ত্রণালয়ে তিনটি কাজ করতে চাই। কোয়ালটি কন্ট্রোল মেকানিজম, মনিটরিং মেকানিজম ও ইভ্যালুয়েশন ম্যাকানিজম। ন্যাশনাল লেভেলে এই তিনটি কাজ কবে হবে তা জানিনা তবে আমার দায়িত্বে থাকা দুটি মন্ত্রণালয়ে আমি এই তিনটি কাজ করে যেতে চাই।  

কোন পরিকল্পনা ছাড়া মন্ত্রণালয়ে শত শত কোটি টাকার কাজ হচ্ছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘কোন পরিকল্পনা ছাড়াই মন্ত্রণালয়ে শত শত কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। আমার দায়িত্বে থাকা দুটি মন্ত্রণালয় চালাতে গিয়ে এই বাস্তবতা দেখেছি। দায়িত্ব গ্রহণের পর কোন প্রজেক্ট রিপোর্ট, প্ল্যান চাইলে তা দেখাতে পারেনি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।’

মন্ত্রণালয়ে পেশাদারিত্বের সংকটের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় যে বিষয়টি আমার মুখোমুখি হতে হয়েছে তা হলো মন্ত্রণালয়ে পেশাদারিত্বের সংকট। কোন একজন কর্মকর্তাকে যে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে উনি সে বিষয়ে পারদর্শী নয়।’

জনপ্রশাসনের সাথে মন্ত্রণালয়ের কোনো সমন্বয় নেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আরেকিটি বাস্তবতার মুখোমুখি আমার হতে হয়েছে তা হলো—জনপ্রশাসন এর সাথে মন্ত্রণালয়ের কোন  সমন্বয় নেই। আমি জনপ্রশাসনের মধ্যে কোন ইচ্ছেও দেখি নাই এই সমন্বয়টা ঘটানোর। কেননা কোনো একটি কাজের জন্য যাকে আমি প্রস্তুত করছিলাম দেখা গেল হুট করেই সেই কর্মকর্তাকে অন্য কোথাও বদলি করা হচ্ছে।’ 

তিন নম্বর সেশনে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির মেম্বার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান, ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ এর পরিচালক ও ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ব্রান্স এর ডেপুটি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক একে এনামুল হক, ব্রাক ইনস্টিটিউট অব গভর্নন্যান্স অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ইমরান মতিন ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ফেনীতে বন্যার্তদের মাঝে বিজিবির খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
দর্শনার ঝাঝাডাঙ্গায় বিএসএফের গুলিতে নিহতের বাড়িতে নাহিদসহ এনসিপির নেতৃবৃন্দ
ভারতে সেতু ধসে প্রাণহানিতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
সীমান্তে পাখির মতো বাংলাদেশিদের হত্যা করছে বিএসএফ: নাহিদ ইসলাম
ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত শিশু ফাহিমা’র চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
বাংলাদেশের আকাশে আজ কালো মেঘের ঘনঘটা : হাসনাত আব্দুল্লাহ
কুমিল্লা বোর্ডের ১০ জুলাইয়ের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
সাত মাসে ৪০ কোটি ডলারের চীনা বিনিয়োগ পেয়েছে বাংলাদেশ: চীনা রাষ্ট্রদূত
সব ধরনের অপরাধ থেকে সুন্দরবনকে মুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ
বনানীতে রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বার ভাঙচুর : প্রধান আসামি মনিরের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
১০