সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে প্রয়োজনে গণভোট দিন: সেলিম উদ্দিন

বাসস
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৬
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা (উত্তর), ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, দেশের প্রচলিত নির্বাচনকে সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণপ্রতিনিধিত্বমূলক করার জন্য সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে হবে। তিনি এই পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে প্রয়োজনে গণভোট অনুষ্ঠানের আহবান জানান।  

তিনি আজ বিকেলে খিলগাঁও (মালিবাগ) কমিউনিটি সেন্টারে রামপুরা দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

থানা আমির আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি খালেদ সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার।

যারা ফ্যাসিবাদী ভাষায় কথা বলবেন তাদের পরিণতিও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত হবে উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি তৈরি করা রাজনীতিকদের দায়িত্ব। স্বাধীনতার পর দেশে বিভেদের রাজনীতির চর্চা শুরু হয়েছে। একশ্রেণির রাজনীতিক নিজেদের অপরাধ-অপকর্ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, দুর্নীতি ও লুটপাটকে ঢেকে রাখার জন্যই জাতিকে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করে রেখেছে। মূলত, তারাই দেশের প্রচলিত রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও অস্থির করে রেখেছে। কিন্তু দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতা তাদের এই অপরাজনীতি আর চলতে দেবে না। তারা অতীত বৃত্ত থেকে বেড়িয়ে আসতে না পারলে জনগণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তামাশা দেখবে না। যারা এখনো জনগণকে বোকা ভাবেন তাদের পরিণতি স্বৈরাচারের চেয়ে ভয়াবহ হবে। তিনি সকলকে নেতিবাচক বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রবর্তনের আহবান জানান। 

তিনি বলেন, অবাধ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই আমাদের স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর আমাদের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকলেও গণতন্ত্রের নামে তামাশা  হয়েছে। ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, রাত্রিকালীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে। তাই আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সময়ের বড় দাবি। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
রাজধানীতে ৬০ কেজি গাঁজা ও পিকআপসহ ছয় মাদক চোরাচালানকারী গ্রেফতার
সততা, পরিশ্রম ও স্বপ্ন জাতির ভবিষ্যৎ রচনা করে : আইজিপি
বাগেরহাটে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার শপথ নিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা 
শরীয়তপুরে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ ও আলোচনাসভা
নাটোরে আলোর অভিযাত্রায় সমাজ গঠনের শপথ
কুমিল্লা সীমান্তে কোটি টাকার বাজি ও চিংড়ি রেণু জব্দ
ঝিনাইদহে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি 
পটুয়াখালীর দুই ইউনিয়ন জোয়ারের পানিতে প্লাবিত
মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্তে নিহত অভিভাবকের বাসায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ
জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমানোই সময়ের দাবি : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
১০