শিরোনাম
ঢাকা, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : এক ব্যক্তিকে অপহরনের অভিযোগে রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতারা হচ্ছে- মো. আলম হোসেন (৪০), মো. মনির আহম্মেদ (৩৫), মো. কবির (৩৪), মো. মফিজুর হোসেন জনি মোল্লা (৪৪) ও সুফিয়া (৩৫)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শুক্রবার রাতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপহরনের শিকার হওয়া মো. রাসেল খান গাজীপুরের একজন ফেব্রিক্স ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফেব্রিক্স ক্রয় করে বিক্রি করতেন। এই ফেব্রিক্স ব্যবসার সুবাদে আয়না ওরফে কাজলী নামে এক মহিলার সাথে তার পরিচয় হয়। গত ৯ জানুয়ারি কাজলী ফেব্রিক্স ক্রয় করার জন্য মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় রাসেল খানকে আসতে বলে। রাসেল সরল বিশ্বাসে শুক্রবার দুপুরে মিরপুরের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে বাটা শো-রুমের পাশে এলে কাজলী ফেব্রিক্স দেখানোর কথা বলে তাকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়া নামে এক নারীর বাসায় যেতে বলে। রাসেল ওই বাসায় পৌঁছলে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী জোরপূর্বক তাকে একটি রুমে আটকে রেখে তার কাছে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর তার মোবাইল ফোনে থাকা বিকাশ ও নগদের পিন কোড নিয়ে আরও ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর অপহরণকারীরা রাসেলের ফোন থেকে রাসেলের মা-বাবা, স্ত্রী ও এলাহী নামে এক বন্ধুর কাছে ফোন করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ভিকটিম রাসেলের বন্ধু এলাহী অপহরণের বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপর হয়।
পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে।
এরপর শুক্রবার রাত ৯টায় মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় অপহরণকারীদের কাছ হতে একটি চাকু, নগদ ১৪ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত পাঁচজনসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার মামলায় গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।