শিরোনাম
দিনাজপুর, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় নবাবগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও মার-পিটের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে নবাবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫'শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিদর্শক মো. আব্দুস সবুর আজ সোমবার দুপুরে এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার তর্পণঘাট গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী নজরুল ইসলাম (৪০) এই ঘটনায় গত ৮ জানুয়ারি নবাবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ পেশ করেন। তার আনিত অভিযোগটি প্রথমিকভাবে অনুসন্ধানে সত্যতার ভিত্তিতে গতকাল রোববার রাতে মামলাটি থানায় দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মামলার উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলো, দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ, বিরামপুর, হাকিমপুর ও ঘোড়াঘাট) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিবলী সাদিক (৪২), তাঁর চাচা দিনাজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন (৭২), নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. জিয়াউর রহমান ওরফে মানিক (৫০), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাজওয়ার মোহাম্মদ ফাহিম (৩৫), সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল বেগম (৫০), সহসভাপতি আমির হোসেন (৬২), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম সবুজ (৪৫), সানোয়ার হোসেন মন্ডল (৫৮) উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান (৩৫), উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবেল হোসেন (২৮), সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন (৩০), ভাদুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল বাদশা (৩০), ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৪০), ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আইনুল হক চৌধুরী (৬০)।
বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট দুপুর দেড় টায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা দেশী ধারালো অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়। একই সময়ে মামলার বাদী সহ আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল, আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামী শিবলী সাদিক ও দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে আসামি, সায়েম সবুজ, মাসুদ রানা, সানোয়ার হোসেন মন্ডল ও সাদ্দাম হোসেন ককটেল নিয়ে এবং অন্য আসামিরা হাতে ধারালো হাঁসুয়া, লোহার রড, চায়নিজ কুড়াল ও দা নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়।
নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহুবার রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার রাতে নবাবগঞ্জ থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন ও অন্যান্য ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর তিনি আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও এজাহারকারীর নিকটে থাকা আলামত জব্দ করেছেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। মামলার আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।