অমর একুশে বইমেলায় আজ নতুন বই এসেছে ৭০টি

বাসস
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:১২
অমর একুশে বইমেলায় পাঠকরা তাদের বই খুঁজছেন। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর ১৯তম দিনে আজ নতুন বই এসেছে ৭০টি।

এরমধ্যে গল্প ৭টি, উপন্যাস ৬টি, প্রবন্ধ ৪টি, কবিতা ২৭টি, গবেষণা ১টি, ছড়া ৩টি, শশুসাহিত্য ৬টি, জীবনী ৩টি, রচনাবলী ২টি, মুক্তিযুদ্ধ ১টি, ভ্রমণ ১টি, ইতিহাস ১টি, ভাষা ৩টি, গণঅভ্যুত্থান ২টি, অনুবাদ ২টি, অভিধান ১টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি ও অন্যান্য ২টি।

আগামীকাল ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ২০তম দিন বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘জন্মশতবর্ষ: রশীদ করীম’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। 

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন হামীম কামরুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন অনিরুদ্ধ কাহালি এবং সাখাওয়াত টিপু। সভাপতিত্ব করবেন সুব্রত বড়ুয়া।  

আজ বুধবার অমর একুশে বই মেলার নির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিকেল ৪টায় বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘শিশুসাহিত্যের মহীরুহ রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলফিকার শাহাদাৎ। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন শাহাবুদ্দীন নাগরী। সভাপতিত্ব করেন সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। 

প্রাবন্ধিক জুলফিকার শাহাদাৎ বলেন, বাংলা শিশুসাহিত্যে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই এক মহীরুহ। শিশুদের চিত্তবৃত্তির উন্মেষ ও প্রতিভার বিকাশ সাধনে তার ছিল নিরলস প্রয়াস। তিনি নিজে যেমন শিশুদের নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন, তেমনি শিশুদের মধ্যেও স্বপ্নের বীজ বুনতেন। তার লক্ষ্য ছিল শিশুদের আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। 

তিনি আরও বলেন, দাদাভাই ‘কচি-কাঁচার মেলা’র মাধ্যমে সারাদেশে শিশুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। নিজে শিশুদের জন্য ছড়া লিখতেন এবং অন্য লেখকদেরও উৎসাহ দিতেন শিশুদের উপযোগী সাহিত্য রচনার জন্য। দাদাভাই তার লেখার মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের মধ্যে নীতিজ্ঞান, দেশপ্রেম ও চারিত্রিক গুণাবলী জাগ্রত করার চেষ্টা করতেন। 

আলোচক শাহাবুদ্দীন নাগরী বলেন, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের কাজের ব্যাপকতা ছিল অনেক। লেখক, ছড়াকার ও সংগঠক ছাড়াও তার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয় হলো তিনি বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তিতুল্য সম্পাদক। শিশু-কিশোরদের সংগঠনের আওতায় এনে তাদের মানসিক উৎকর্ষ সাধনে দাদাভাই সারাজীবন অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি ছিলেন লেখক তৈরির কারিগর। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের অনেক বিখ্যাত লেখক সাহিত্য জগতে আবির্ভূত হয়েছেন।  

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ বলেন, শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সী মানুষের অতি প্রিয় মানুষ ছিলেন রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই। শিশুদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার জন্য তিনি যে ভূমিকা রেখেছেন তা অবিস্মরণীয়। তার কথা, কাজ ও আদর্শ আমাদের মাঝে চিরকাল বেঁচে থাকবে। 

লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন-মাহমুদউল্লাহ, কাজল রশীদ শাহীন এবং তুহিন খান।

সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা’র পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘নবরস’ এবং জহির আলীমের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘আবদুল আলীম ফাউন্ডেশন’-এর পরিবেশনা ছিল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন কবি মজিদ মাহমুদ, কবি কামরুজ্জামান এবং কবি শফিকুল ইসলাম। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলা প্রচারে ওয়ার্ল্ড এথনোস্পোর্টস ইউনিয়নের সঙ্গে এমওইউ সই
চুয়াডাঙ্গায় ট্রাক-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৩ যাত্রী নিহত
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তরুণরা নতুন সমাজ গড়বে : সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে উত্তরায় জামায়াতের মিছিল
বিএনপি ৩১ দফার ভিত্তিতে মানবিক রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে: এস এম জাহাঙ্গীর
ফাঁসির মঞ্চ থেকে আল্লাহ আমাকে জনতার মঞ্চে নিয়ে এসেছেন: এটিএম আজহারুল ইসলাম
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের আলোচনার ইঙ্গিত
অর্থনৈতিক ও আঞ্চলিক বৈষম্য চিরতরে বিদায় করতে চাই : নাহিদ ইসলাম
রোমে জ্বালানি স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আহত ৪৫
নরসিংদীতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের সম্মানে আলোচনা সভা 
১০