ঢাকা, ২৬ মাচ, ২০২৫ (বাসস): মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ আয়োজন ‘মুক্তির মহিমা’।
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন (উপসচিব)।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকচিত্র শিল্পী, শিক্ষক ও সমাজকর্মী জান্নাতুল মাওয়া। স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান।
মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেন বলেন, এখন সময় এসেছে আমাদের স্বাধীনতার যে ব্যাপকতা তার প্রকৃত অর্থ অনুধাবন করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার। অট্টালিকার ভীড়ে আমাদের যে সংস্কৃতি চর্চা, সেই সংস্কৃতি চর্চায় এখন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নেই।
তিনি বলেন, আমরা সংস্কৃতি ও তার ঐতিহ্যকে শুধুমাত্র শহরকেন্দ্রিক সীমাবদ্ধ রাখিনি। আমরা এখন আনাচে-কানাচে তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির কর্মকান্ডের যে ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে সেই ব্যাপকতা আরো প্রসারিত করব এবং সংস্কৃতির স্বাধীনতাকে প্রকৃত স্বাধীনতায় রূপান্তর করব, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
এরপূর্বে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে একাডেমির পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে সমবেত ‘যন্ত্রবাদন’ পরিবেশন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যন্ত্রশিল্পী। যন্ত্রসংগীত পরিবেশনায় ছিলেন দেবাশীষ দাস (তবলা), তুষার কান্তি সরকার (তবলা), কফিল উদ্দিন মাহমুদ (অক্টোপ্যাড), ফাহাল হোসাইন গোলন্দাজ (গীটার), নারায়ন দেব লিটন (কীবোর্ড), জিয়াউল আবেদীন (দোতারা), জিনিয়া জাফরিন (বেহালা), নূরে জান্নাত (মেলোডিকা), মো: জিলানী (পারকেশন), আশিকুল ইসলাম (এস্রাজ)। এরপর একক যন্ত্রসংগীত (এস্রাজ) পরিবেশন করেন আশিকুল ইসলাম। তারপর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা আবৃত্তি করেন এনামুল হক জুয়েল। কাজী বুশরা আহমেদ তিথি আবৃত্তি করেন আবুল হাসান এর ‘উচ্চারণগুলি শোকের’ ও সুজন হাজারী’র ‘১৯৭১ এক নবজাতকের প্রতিবেদন’ কবিতা দুটি। সবশেষে স্বরচিত কবিতা ‘বাবা ডাকতে চাই’ আবৃত্তি করেন এ বি এম সোহেল রশিদ।