ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ছবি : ফেসবুক

ঢাকা, ২৭ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ডিএনসিসি’র উদ্যোগে এবার পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, সুলতানি মোঘল আমলে পুরোনো ঢাকায় একসময়  ঈদ মিছিল হতো। সেই পুরোনো ঈদ মিছিল আমরা আবার ফিরিয়ে আনতে চাই।

আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর ডিওএইচএস থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি এবং নতুন ১৮ওয়ার্ড প্রকল্পের অন্তর্গত উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজার হতে চামুরখান পর্যন্ত দুটি রাস্তার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

ঈদুল ফিতরেরে আনন্দ ও উৎসব ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সবার উল্লেখ করে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ ডিএনসিসির উদ্যোগে ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে ঈদের বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘সাধারণত ঈদের জামাত শেষে ঢাকায় সবাই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বাসায় থেকে ঈদের দিন কাটিয়ে দেয়। তাই আমরা এবার সবাইকে ঈদের উৎসবে যুক্ত করতে চাই। এই ঈদ আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করবে শিল্পী, সংস্কৃতি কর্মী, নারী-পুরুষ, শিশু, সকল ধর্মের, বর্ণের মানুষ। 

মোহাম্মদ এজাজ সবাইকে দল-মত নির্বিশেষে  ঈদ আনন্দ উৎসবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঈদের জামাত শেষে সকাল ৯টায় পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠ থেকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঈদ আনন্দ মিছিল শুরু হবে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে দিয়ে আগারগাঁও প্রধান সড়ক হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে সংসদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে এই আনন্দ মিছিল। 

তিনি বলেন, বর্ণাঢ্য এই আনন্দ মিছিলে ব্যান্ড পার্টি, ঘোড়ার গাড়ি, ঢোল, বাজনাসহ নানা আয়োজন থাকবে। পাশাপাশি এই আনন্দ মিছিলে ঈদ মোবারক লেখা ফেস্টুন প্ল্যাকার্ড থাকবে। ৫ আগস্টে সবাই যেমন বিভিন্ন লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিজয় মিছিল করেছেন, তেমনিভাবে আপনারা আপনাদের ম্যাসেজটি নিয়ে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করুন।

সড়ক উদ্বোধনকালে অন্যান্যের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, ১৮ওয়ার্ডের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  মোহাম্মদ ওসমান সরোয়ার, ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খয়বর রহমান, মো. জুলকার নায়ন ও মো. জিয়াউর রহমান, ১৮ ওয়ার্ড প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাসুদুর রহমান খান ও প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর এস সৌমিক ইসলাম প্রমুখ।