সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জুলাই বিপ্লবীর পরিবারের পাশে জামায়াত নেতৃবৃন্দ

বাসস
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:৪১

ঢাকা, ৪ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র তানিফা আহমেদ ছিলেন জুলাই বিপ্লবের অগ্রসৈনিক ও বীর সেনানী। তার এ বীরত্ব গাঁথা দেশ ও জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত তানিফা আহমেদের বাসা ও পরে তার নিহত মামা শামীমের বাসায় বৃহস্পতিবার রাতে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেওয়ার সময় সমবেত স্বজনদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন তিনি। 

চট্রগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন ও চট্রগ্রাম মহানগরী আমীরের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন এবং চিকিৎসার জন্য তার সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মিরপুর মডেল থানার সহ-মুখপাত্র তানিফা আহমেদ তার মামা শামীমসহ চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় গত বুধবার সকাল ৭টায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান। চট্টগ্রাম থেকে ফেরার পথে তানিফা ও তার মামা শামীম, মামী, দুই মামাতো বোন মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। এতে শামীমের এক বন্ধু, তার স্ত্রীসহ আরেকজন বন্ধু এবং ড্রাইভারসহ একই পরিবারের ছয়জনসহ মোট ১০ জন মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান।

এসময় মহানগরী আমীরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা-১৬ আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী কর্নেল (অব.) আব্দুল বাতেন, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন, পল্লবী দক্ষিণ থানা আমীর ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আশরাফুল আলম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের যুব বিভাগ সেক্রেটারি ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী হাসানুল বান্না চপল, পল্লবী জোন প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগরী উত্তর যুব বিভাগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন সজল প্রমুখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, তানিফা আহমেদ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশের ইতিহাসে স্থায়ীভাবে স্থান করে নিয়েছেন।

তার এ ঐতিহাসিক অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি মরহুম তানিফাসহ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার রূহের মাগফিরাত কামনা করে জান্নাতের আ’লা মাকাম দানের জন্য মহান আল্লাহ তা’য়ালার দরবারে দোয়া করেন। মহানগরী আমীর তাদের স্বজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের সবরে জামিল ধারণের তাওফিক কামনা করেন।

তিনি বলেন, মৃত্যু যেভাবেই হোক তা আল্লাহর ফয়সালা অনুযায়ি নির্ধারিত সময়েই হয়ে থাকে। মরহুম তানিফা আহমেদ ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ ও গর্বিত সন্তানদের মধ্যে একজন। তার দুনিয়ার সংক্ষিপ্ত সফরে দেশ ও জাতির যে অনন্য সাধারণ অবদান রেখেছেন তা আমরা কখনোই বিস্মৃত হবো না। তাই শোকে কাতর না হয়ে আমাদেরকে মরহুমের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে। তিনি নিহত পরিবারের পাশে থাকতে সম্ভব সবকিছু করার আশ্বাস প্রদান করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
শ্রীলংকার ২ মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সফররত ঢাকা চেম্বারের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে মৌসুমি ফল উৎসব 
সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই : আব্দুস সালাম
আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন : সংসদ নির্বাচনে পোস্টারের ব্যবহার বন্ধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকে স্মরণ করতে ১ জুলাই থেকে বিশেষ কর্মসূচি পালিত হবে
পটুয়াখালীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে 
রাজধানীর উত্তরায় র‌্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৫
জ্বালানি নিরাপত্তা ও বায়ুমান উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৬৪০ মিলিয়ন ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
‘বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কার’র জন্য ২১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান মনোনীত
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল প্রবাসীর 
১০