মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে দেশটির উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সুপ্রতিবেশিসুলভ মনোভাব জোরদার হবে বলে মনে করছেন নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান উপস্থিত থেকে সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নির্দেশনায় এবং সশস্ত্র বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারকে মানবিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনা কল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্ট এ সহায়তার যোগান দিয়েছে।
১২০ টন ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে আছে, ৭৭ টন শুকনো খাবার, ৯ টনের বেশি তাবু ও পোশাক, ২৯ টন বিশুদ্ধ পানি, ৪ টন হাইজিন কিট এবং ১ টন ওষুধসহ জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী।
নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আরিফের নেতৃত্বে জাহাজটি আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে মিয়ানমার সরকারের প্রতিনিধি দলের কাছে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করে জাহাজটি দেশে ফিরবে।
ত্রাণ সহায়তা প্রেরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘এ ত্রাণ সহায়তা প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মায়ানমারের মধ্যে বিদ্যমান পারস্পরিক সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং সুপ্রতিবেশিসুলভ মনোভাব আরও জোরদার হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’
অন্যদিকে নৌবাহিনীর চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক গড়ে উঠলে রোহিঙ্গা ইস্যুসহ দ্বিপাক্ষিক নানা সমস্যা মোকাবেলা সহজ হবে বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে দুই ধাপে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর মাধ্যমে ৩১ দশমিক ৫ টন ত্রাণসামগ্রী, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তাকারী দল পাঠিয়েছে।