।। সেলিনা শিউলী ।।
ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বাংলা একাডেমিতে মহাপরিচালক হিসেবে তিন বছরের জন্য নিযুক্ত হন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের বাংলা বিভাগের তরুণ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম। তারপর থেকেই তিনি তার নিজের মেধা ও মননের সমন্বয়ে একাডেমির ইতিহাস-ঐতিহ্য সমুন্নত রেখে এর গুণগত পরিবর্তন ও সংস্কারে নানা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়নসহ ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব কর্মযজ্ঞ নিয়ে সম্প্রতি তিনি কথা বলেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক সেলিনা শিউলী।
বাসস: বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে আপনি যোগদানের পর খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। নানা কর্মপরিকল্পনা করছেন, এ বিষয়ে কিছু বলুন।
মহাপরিচালক: আমরা চেষ্টা করছি বাংলা একাডেমির কাঠামোগত দিকটাকে একটু উন্নত করার। বাংলা একাডেমি অনেক পুরোনো একটি প্রতিষ্ঠান। এর ৭০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে এখানে নানা তাৎপর্যমূলক কাজ হয়েছে। এদেশের মানুষের মনোজগতের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলা একাডেমি।
বাসস: বাংলা একাডেমিকে ডিজিটালাইজড করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, এ কার্যক্রমের অগ্রগতি কতটা হয়েছে?
মহাপরিচালক : প্রধানত চেষ্টা করেছি এককভাবে নয়, বাংলা একাডেমির গুণগতমান উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে। ইতোমধ্যেই অফিসিয়ালি কিছু কিছু কাজ করেছি। বহু বছর ধরে চাকরিজনিত সমস্যা ছিল, সেসব সমাধানেও কাজ চলছে।
কাঠামোগত দিক থেকে সবচেয়ে বড় যে উদ্যোগটা নিয়েছি, সেটা হলো পুরো একাডেমিকে ডিজিটালাইজড করা। কিছু কিছু অংশের কাজ আরো আগে হওয়া উচিত ছিল। বিস্ময়কর হল, বাংলা একাডেমি কম ডিজিটালাইজড হয়েছে বা কিছু জায়গায় ডিজিটালাইজড হয়নি বললেই চলে। আমরা একটা কমপ্লিট ডিজিটালাইজেশনের বাংলা একাডেমি করতে চাইছি। যেমন- প্রাতিষ্ঠানিকতা, প্রশাসন, অর্থব্যবস্থা, বই প্রকাশ, বই বিক্রি ও অন্যান্য যে কাজগুলো আছে। এছাড়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুসহ প্রত্যেকটা বিষয় যেন ডিজিটালাইজড প্ল্যাটফর্মের আওতায় আসে সে বিষয়ে কাজ চলছে।
এছাড়াও একাডেমির সার্বিক বিষয় যেন ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আসে সেজন্য ইতোমধ্যেই আমরা কাজ শুরু করেছি। এর লক্ষ্য হলো বইপুস্তক ইউনিকোডে ছাপানো, যেন একইসঙ্গে একটা ই-বুক হয় এবং এটা সারা পৃথিবীতে সহজপ্রাপ্য হয়। এর সঙ্গে কিছু অ্যাপস তৈরিরও উদ্যোগ নিয়েছি। ফলে, কাঠামোগতভাবে এখন পর্যন্ত এটা সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
বাসস: একাডেমিতে গবেষণা নিয়ে নতুন ধরণের কি কি উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন?
মহাপরিচালক : বাংলা একাডেমি তো নিজে গবেষণা করে না, অন্যদের অ্যাসাইন করে থাকে। এটার মধ্যে যে গবেষণার পরিবেশ তৈরি করা যায়, সেটা করার চেষ্টা করছি। বাংলা একাডেমিতে উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়নি। এক্ষেত্রে আমরা একটা নতুন কাজ শুরু করেছি। শুধু বাংলা একাডেমিতে নয়, আসলে পুরো দেশে প্রথমবারের মত ৫০টি প্রবন্ধ গবেষণার জন্য বৃত্তি দিয়েছি। আগে অপেক্ষাকৃত কম টাকার তিনটি বাৎসরিক বৃত্তি ছিল। এখন এই বৃত্তির সংখ্যা ১০ টিতে উন্নীত করে সম্মানির অংক বাড়িয়েছি।
বাংলা একাডেমিতে লেখকদের জমা দেওয়া পাণ্ডুলিপি ১০-১৫ বছর পর্যন্ত পড়ে থাকার রীতি ছিল। এটা জটের ইতিহাসে পরিণত হয়েছিল। এসব জটিলতা নিরসনে কাজ শুরু হয়েছে। গবেষণা বিভাগে জমাকৃত পাণ্ডুলিপি একাডেমির অন্য বিভাগে দিয়ে আরো নানাভাবে এই জটটা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য হলো, বাংলা একাডেমিতে একটা পাণ্ডুলিপি জমা হবার পরে এটা যেন একবছরের মধ্যে বই আকারে বের হয়। অথবা যদি বই প্রকাশ না হয় তবে তিন থেকে ছয়মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট লেখককে অবহিত করা হবে।
বাসস: বিগত বছরগুলোতে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশনায় কিছুটা ধীরগতি লক্ষ্য করা গেছে, কি কারণে এমনটা হয়েছে?
মহাপরিচালক: বিগত বছরগুলোতে এখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশিত হয়েছে। মাঝে কিছু সময় বাংলাদেশের ৫০ বছর এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের অতিরিক্ত পাবলিকেশনন্সের চাপে সাধারণ যে প্রকাশনা ও গবেষণামূলক বই প্রকাশ পেতো, সেই নিয়মিত ধারা স্তিমিত হয়ে যায় এবং জট পড়ে যায়। আমরা তা উত্তরণের চেষ্টা করছি। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি, অনুবাদ, পাঠ্যপুস্তক ও অপরাপর বইয়ের ক্ষেত্রে নিজেরাই অ্যাসাইন করে বই লেখাবো। যার জন্য পর্যাপ্ত বাজেট ও কর্মপরিকল্পনার দরকার আছে। তাই আমরা সরকারের কাছ থেকে অর্থ বরাদ্দ আনার চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করছি।
বাসস: বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো নিয়ে আপনার কি পরিকল্পনা রয়েছে?
মহাপরিচালক: বাংলা একাডেমির নিয়মিত যেসব পত্রিকা বের হয়, সেগুলোর মানোন্নয়নে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে একাডেমির যথেষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। লোকবল আছে, ফলে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভাল প্রকাশনা করা সম্ভব। আর নতুন একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তা হলো একটা সম্পাদনা পর্ষদ গঠন করা হবে। যে পত্রিকাগুলো ছাপা হবে সেসব পত্রিকার ডিক্লারেশন ইনডেক্স (ডিআই) নাম্বার হবে এবং একইসঙ্গে অনলাইন কপি ও ই-পত্রিকা হবে। ফলে, এসব পত্রিকার মাধ্যমে আমরা নতুন স্তরে প্রবেশ করতে পারবো। আশা করছি, আমাদের ডিজিটালাইজেশনের উদ্যোগটা খানিকটা এগুলেই এ কাজগুলো শুরু করবো।
বাসস: বাংলা একাডেমির লাইব্রেরীকে বিশ্বমানের করে সাজানো হচ্ছে, এর কাঠামো ও সংস্কার নিয়ে কি কি পরিবর্তন আনা হয়েছে?
মহাপরিচালক: বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে বাংলা একাডেমির লাইব্রেরীকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলা একাডেমিতে খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটো প্রজেক্ট চলছে, যার মধ্যে একটি হলো লাইব্রেরী ডিজিটালাইজেশন। লাইব্রেরীর পরিধি বাড়ানো হয়েছে। লাইব্রেরী ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে প্রায় ১ কোটি সাড়ে ২৭ লাখ পৃষ্ঠা স্ক্যান করা হয়েছে। এসব পৃষ্ঠা এখানে এসে সরাসরি পড়ার পাশাপাশি অনলাইনেও পড়তে পারবেন পাঠকরা। লাইব্রেরীর সার্বিক সেবাকে বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত করার ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। সারাবিশ্বের মানুষ তাদের মতো করে বাংলা একাডেমির লাইব্রেরী থেকে সুবিধা নিতে পারবেন। চলমান এ প্রকল্প জুনে শেষ হবে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে পাঠকের কাছে এ সুবিধা পৌঁছে দিতে পারবো।
এছাড়াও একাডেমির পাণ্ডুলিপি শাখার সহযোগিতায় একটা বড় প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সেখানে সমস্ত পান্ডুলিপি ডিজিটাইজড হবে। নতুন ভার্সনেরও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। সেখান থেকে ৫ হাজার পৃষ্ঠা লিপ্যন্তর বা ট্রান্সলিটারেশন (বর্ণানুবাদ বা প্রতিবর্ণীকরণ হল কিছু পরিমাণ পাঠ্যকে এক ভাষার লিপি থেকে অন্য ভাষার লিপিতে রূপান্তর) এবং তার মধ্যে বৃহৎ আকারের সম্পাদিত পাঁচটা বই বের হবে। আগামী দু’এক বছরের মধ্যে প্রকল্পটি আলোর মুখ দেখবে।
বাসস: বাংলা একাডেমিতে প্রথমবারের মতো কবি, সাহিত্যিক ও লেখকদের জন্য উন্মুক্ত ‘লেখক কেন্দ্র’ হচ্ছে, - এ বিষয়ে জানতে চাইছি।
মহাপরিচালক: বাংলা একাডেমিতে লেখক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে চলতি মাসেই। এখানে লেখকরা আড্ডা দিতে পারবেন, একইসঙ্গে তারা বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিনামূল্যে বইয়ের মোড়ক উন্মোচন, পাঠচক্র, কবিতা পাঠের আসর, বই আলোচনাসহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও অংশ নিতে পারবেন।
বাসস: প্রথমবারের মতো উন্নতমানের ‘লিটলম্যাগ আর্কাইভ’ নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে আপনার -এ বিষয়ে বলুন।
মহাপরিচালক: ‘লিটলম্যাগ আর্কাইভ’ বিষয়ে একটা পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রকাশিত যত অপ্রাতিষ্ঠানিক পত্রিকা রয়েছে, প্রত্যেকটির দুই কপি এ আর্কাইভে জমা থাকবে। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় কাজ হবে।
বাসস: বাংলা একাডেমিতে সদস্যপদ বৃদ্ধির বিষয়ে কোন সংস্কার হয়েছে কি?
মহাপরিচালক: প্রসিদ্ধ বাংলা একাডেমিতে সদস্যপদ নিয়ে সবার আগ্রহ রয়েছে। আমরা চলতি বছর কোন সদস্যপদ দেইনি। আশা করছি প্রচলিত নিয়মে এ বছর একুশজনকে সদস্যপদ দেব। একাডেমিতে একুশ, বাহান্ন কিংবা একাত্তর সংখ্যায় সদস্যপদ বৃদ্ধি করতে নানা প্রস্তাব রয়েছে। পরবর্তীতে একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তক্রমে সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
বাসস: আগামী বছরের অমর একুশে বই মেলা নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কি?
মহাপরিচালক: আগামী বছরের বই মেলা নিয়ে অবশ্যই বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে। এবছর ধূলাবালি মেইনটেইন করা, দোকানপাটের বিন্যাস, রাস্তা তৈরি, সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনাসহ সবকিছু নিয়ে কাজ করে বাংলা একাডেমি প্রশংসিত হয়েছে। তবে, হকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় বইমেলার অনেক কিছু দৃশ্যমান হয়নি। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসহযোগিতা ও গাফিলতি দায়ী। অন্যদিকে, স্পন্সর নিয়েও খুব ঝামেলা হয়েছিল। আগামী বছর যদি এই সেটআপে বইমেলা হয় এবং বাংলা একাডেমিতে মহাপরিচালক হিসেবে থাকি, তাহলে অপেক্ষাকৃত গুছিয়ে, অমর একুশে বইমেলা করতে পারবো।
সারাবিশ্বে বইমেলার দিকে তাকালে দেখবেন সেখানে পুরো পৃথিবীর লেখকদের সমাগম হয়; অন্তত একাংশের সমাবেশ ঘটে। প্রকাশক ও পাঠকদের যে গুণগত মোলাকাত কিংবা সম্পর্ক হয়, তেমনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাঠক ও দর্শণার্থীদের প্রাণের অমর একুশে বইমেলার গুণগত পরিবর্তন ও দেশ-বিদেশের লেখক ও পাঠকদের সমাবেশ করতে পারলে বইমেলা আরো প্রাণবন্ত হতো। বর্তমানে আমাদের সামগ্রিক সংস্কৃতি অনুকূলে নয়। তবে, গত বইমেলা নিখুঁত করতে যা পারি নাই সেটার জন্য কাজ করবো।
বাসস: গবেষণা নিয়ে বাংলা একাডেমি সম্পর্কে আর কি কি পরিকল্পনা রয়েছে?
বাংলা একাডেমি সম্পর্কে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, যেসব গবেষণামূলক গ্রন্থ খুব বিরল এবং বাইরের প্রকাশকরা বের করতে চায় না, সেসব বই প্রকাশের ক্ষেত্রে একাডেমিই হবে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলায় পাঠ্যপুস্তক- যেটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রকাশ করার কথা, তারা নানা কারণে করছে না। যেমন: পাঠ্যপুস্তক রচনা, অনুবাদ ও গবেষণামূলক বই-সেগুলো প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বাংলা একাডেমি সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে পারে।
আমার মতে, বাংলা একাডেমি এমন প্রতিষ্ঠান, যেটি চর্চাকে ফ্যাসিলেটেড করে অর্থাৎ সুবিধা ও সুযোগ তৈরি করে দেয়। ফলে, আমরা গবেষণা ও প্রবন্ধ রচনার জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছি। এক বছরের গবেষণার জন্য বৃত্তি ঘোষণা করেছি। এটাতে ব্যাপক সাড়াও পেয়েছি। মাত্র ১০টা বৃত্তির বিপরীতে ৬ হাজারের বেশি আবেদন পড়েছে। এটা বড় আকারেও করতে পারে একাডেমি।
বাসস: নতুন লেখকদের নিয়ে যেসব কাজ হয়েছে তা নিয়ে বিশদ বলুন।
মহাপরিচালক: একাডেমি তরুণ ও নতুন লেখকদের নিয়ে ‘লেখক কর্মশালা’ করেছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি অনুদানে তা করা হয়। ছয়মাস ও একবছর মেয়াদি সেসব কার্যক্রম সাড়া ফেলেছে। ছয় মাস মেয়াদের এই কর্মযজ্ঞে বিশজন লেখকের বই বের হবে। চলতি বছর ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে ফেলোশিপ আহ্বান করার কাজ চলমান রয়েছে। এসব গবেষণা প্রবন্ধের জন্য শর্ত থাকবে একটাই, লিখতে হবে বাংলা ভাষায়। এর বাইরে বিষয়, এরিয়া, বয়স-সব উন্মুক্ত। গবেষকরা প্রবন্ধ লেখার জন্য ২০ হাজার টাকা করে সম্মানী পাবেন।
বাসস: বাংলা একাডেমিতে আর কি ধরণের সংস্কার করা হচ্ছে?
মহাপরিচালক: সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলা একাডেমিতে একটা সংস্কার কমিটি তৈরি করার কাজ করছি। সংস্কৃতি উপদেষ্টা এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সদস্যপদ দেওয়া নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির আইন রয়েছে। একাডেমি হুট করে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। প্রয়োজনে যদি সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হয়, তাহলে আইন পরিবর্তন করে তা করতে হবে।
বাসস: ব্রিটিশ আমলের বর্ধমান হাউস বর্তমানে বাংলা একাডেমি, এই বর্ধমান হাউস এর সংস্কার নিয়ে কিছু বলুন।
মহাপরিচালক: বর্ধমান হাউস একটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ভবন। এ ভবনের তৃতীয় তলায় আমাদের অফিস রয়েছে। এটা নিজেদের উদ্যোগে পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা সম্ভব নয়। তবে, জননিরাপত্তা বিবেচনায় সম্প্রতি ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত ছাদ পিডব্লিউডির পরামর্শে মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে।
বাসস: বাসসকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মহাপরিচালক: ধন্যবাদ