ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ (বাসস): কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে জেলের ছদ্মবেশে ইয়াবা পাচারের সময় দুই মিয়ানমার নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধীনস্থ নাজিরপাড়া বিওপি’র সীমান্তবর্তী নাফ নদী দিয়ে কয়েকজন মিয়ানমার নাগরিক মাছ ধরার ছদ্মবেশে ইয়াবার একটি চালান বাংলাদেশিদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা করছে বলে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার জানা যায়।
পরিস্থিতি বিবেচনায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান তাৎক্ষণিকভাবে নাফ নদী ও আশপাশের কৌশলগত স্থানে বিশেষ টহল মোতায়েন করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিজিবির নৌ টহলদল একটি নৌকার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে করলে দ্রুত পিছু নেয় এবং ধাওয়া শুরু করে। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু নাফ নদীর সীমান্তসংলগ্ন শূন্যরেখা থেকে বাংলাদেশের প্রায় ১শ গজ ভেতরে একটি নৌকা জব্দ করে অভিযানিক দলটি। সেসময় মিয়ানমারের দুই নাগরিককেও আটক করা হয়।
পরবর্তীতে নৌকাটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাটাতনের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকানো ও মোড়কজাত অবস্থায় ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মিয়ানমারের মংডু জেলার ডেইলপাড়া গ্রামের মো. জুবায়ের (২০) ও নূরুল আমিন (২২)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবার চালানটি মিয়ানমার থেকে এনেছে বলে স্বীকার করেছে তারা। এরপর নদীতে জেলের ছদ্মবেশে অবস্থান নিয়ে অপেক্ষমাণ বাংলাদেশি সহযোগীদের কাছে হস্তান্তরের পরিকল্পনা ছিল।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি পাচারের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, ‘বিজিবি সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচারসহ সকল আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে সীমান্তে টহল জোরদার করার পাশাপাশি নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’