ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশন বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, শনিবার হাইকমিশন প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাণী পাঠ করা হয়।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. জকি আহাদ তাঁর বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সব শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে শরিক হওয়ায় এবং গণঅভ্যুত্থানে তাঁদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
হাইকমিশনার বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের জন্য নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছে। তিনি এটিকে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটি মোড় পরিবর্তনের মুহূর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি সকল প্রবাসী বাংলাদেশিকে অন্তর্র্বর্তী সরকারের গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার উদ্যোগে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরে গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে গণআন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং শেখ হাসিনা সরকারের সময় সংঘটিত নির্যাতনের ছবি ও পোস্টারের বিশেষ প্রদর্শনী ছিল।
এছাড়া ‘জুলাই অনির্বাণ’, ‘আবরার ফাহাদ’, ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’, ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিজ ইন জুলাই’, ‘জুলাই ওমেন’, ‘উইল ইউ এভার স্লিপ মা’, ‘জুলাই ১৮ মাহবুবুল’ এবং ‘রিকুইয়েমস ফর জুলাই মার্টার্স’ শিরোনামের তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
শহীদদের আত্মার মাগফিরাত, আহতদের সুস্থতা এবং বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি এবং তাঁদের পরিবার উপস্থিত ছিলেন।