ঢাকা, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় আবুল খায়েরের প্লাস্টিক কারখানার মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র অপহরণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ওই কারখানার কর্মচারী সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুল ওরফে মকবুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনাল।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি দণ্ডিত সাদ্দামকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার রাশেদুল ইসলাম বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচর এলাকার আবুল খায়েরের প্লাস্টিক কারখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ওই কারখানার মালিক আবুল খায়েরের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওইদিন রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সাদ্দাম মোবাইলে ফোন করে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরদিন ১৬ আগস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুর এলাকা থেকে শিশু আরিফকে উদ্ধার করে এবং সাদ্দামকে গ্রেফতার করে।
২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালতে ৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।