সাংঘর্ষিক রাজনীতির পুরানো ধারায় ফেরা যাবে না : খসরু

বাসস
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪৯
আজ রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। ছবি : বাসস

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সাংঘর্ষিক রাজনীতির পুরানো ধারায় ফেরা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লড়াইয়ে সব দল ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন রাস্তায় আন্দোলন নয়। এখন জনগণের কাছে আমাদেরকে যেতে হবে। আমরা সাংঘর্ষিক রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না। আমরা হিংসাপরায়ণ রাজনীতির দিকে যেতে পারবো না।’

আজ রোববার দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা যদি পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে রাজনীতি করে যাই, আবার সেই পুরোনো কালচারে আমাদের ফিরে যেতে হবে।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে দলগুলো এক সঙ্গে বসার কালচার কোনো সময় ছিল না। কেউ কারো চেহারা পেছনে দেখতো না। আজকে কিন্তু আমরা এখানে বসেছি সবাই। আমরা বসে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের কথা বলছি। আমরা এখানে বসে আগামী নির্বাচনকে কীভাবে সুষ্ঠভাবে পরিচালিত করে দেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনবো, সেই লক্ষ্যে আমরা সবাই চলছি যার যার অবস্থান থেকে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বিগত ১৬ বছরের যে সংগ্রাম, সেই সংগ্রামে আমরা জয়ী হয়েছি। বাকি যে কাজটা আছে সেটা আমাদের করতে হবে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে ১৪ মাস আমরা অতিক্রম করছি। আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। আমরা যুদ্ধ করেছি একটি নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের জন্য সেটা এখনও আমরা পাইনি।

এ জন্য আজ আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় জুলাই সনদে সই করেছি। এখন আমাদের বাকি কাজ যেটা আছে আগামী নির্বাচনকে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে হবে।’

আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাইকে সহনশীল হতে হবেন উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ রাখতে হবে। দ্বিমত পোষণ করেও তার মতকে শ্রদ্ধা জানাতে হবে। আমাদের এই কালচারগুলো আনতে হবে। আরেকজনের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবো। তারপরও তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তো আমাদের অসুবিধা নেই। আমাদের এই সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ হচ্ছে না। প্রত্যেকটি দলের নিজস্ব দর্শন, চিন্তা ভাবনা ও রূপরেখা আছে, সবকিছু তো এক জায়গায় হবে না। তা না হলে তো আলাদা দল হতাম না, তাহলে তো আমরা বাকশাল হয়ে যেতাম সুতরাং যার যার অবস্থানে আমাদের যে ম্যান্ডেট, সেটা নিয়ে জনগণের কাছে যাব। সেই ম্যান্ডেট নিয়ে নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে পরিবর্তন আসবে। অনেকগুলো পরিবর্তন রাতারাতিও আসবে না, এগুলো একটা সময়ের মধ্যে আমাদের আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে। যে কটা সমাধান হবে না, সেগুলো আমাদের জনসম্মুখে আলাপ আলোচনার মধ্যে রাখতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
চুয়াডাঙ্গায় দুদকের ১৮৮ তম গণশুনানি আগামীকাল
নীতি-আদর্শ ছাড়া শুধু দল ও নেতা পরিবর্তনে শান্তি আসতে পারে না: ফয়জুল করীম
দিনাজপুরে মাদক সহ আটক ২  
সংবাদপত্র ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে : তথ্য উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের সংলাপ ব্যাহত করার ‘প্রচেষ্টা’র নিন্দা রুশ দূতের
টেস্টে নেতৃত্বের প্রস্তাব পেলে ‘না’ করবেন না লিটন
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য গবেষণায় অব্যাহত সহায়তার অঙ্গীকার ফ্রান্সের
সামুদ্রিক সম্পদ আহরণে দক্ষ জনবল তৈরিতে কাজ করবে দুই বিশ্ববিদ্যালয় 
সুন্দরবনে ডাকাত দল রাঙ্গা বাহিনীর প্রধান নজরুল শেখ অস্ত্রসহ আটক
জার্মানিতে বার্ড ফ্লুর প্রকোপে বার্লিনের কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার হাঁস-মুরগি নিধনের নির্দেশ
১০