
ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের সামগ্রিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা।
তারা বলেন, টেকসই ভবিষ্যতের লক্ষ্যে যুবশক্তির নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করতে হবে, যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জকে টেকসই উন্নয়নের সুযোগে রূপান্তর করা যায়।
রোববার সন্ধ্যায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নবগঠিত প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব ক্লাইমেট চেঞ্জ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি (আইসিসিইএস)। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক জলবায়ু কার্যক্রম দিবস ২০২৫ পালিত হয় ।
অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যুব সম্পৃক্ততা’। আইসিসিইএস-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শেখ তাজুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ-এর এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গবেষক ড. হাসিব মো. ইরফানুল্লাহ, ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং-এর সিনিয়র গবেষক ড. আনোয়ার জাহিদ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ইউএন উইং চিফ একেএম সোহেল এবং জেনল্যাবের নির্বাহী পরিচালক রাতুল দেব।
বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত এখন শুধু পরিবেশগত নয়; অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, কৃষি ও নগরায়নসহ সব খাতেই প্রভাব ফেলছে। তাই অভিযোজন, প্রশমন, জলবায়ু অর্থায়ন, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্বচ্ছতা ও আনুগত্য-এই মৌলিক ক্ষেত্রগুলোতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
তারা আরও বলেন, টেকসই উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে হলে প্রাকৃতিক সম্পদের অতিব্যবহার সীমিত করতে হবে এবং গবেষণা ও নীতিনির্ধারণে সমন্বয় গড়ে তুলতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু সমন্বয়ের জন্য নতুন বাজার ও অর্থায়নের সুযোগ খুঁজে বের করা দরকার। এতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরও কার্যকরভাবে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে বাংলাদেশ।
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, গবেষক, পরিবেশবিদ ও তরুণ জলবায়ু নেতারা। তারা বলেন, জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে তরুণ প্রজন্মের নেতৃত্বই হতে পারে প্রধান চালিকাশক্তি।
উদ্বোধনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করা আইসিসিইএস জলবায়ু গবেষণা, নীতি সংলাপ, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং যুবনেতৃত্বাধীন উদ্ভাবনকে এগিয়ে নিতে কাজ করবে।