
।। আসাদুজ্জামান।।
সাতক্ষীরা, ২২ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলায় আজ সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বনদস্যু ও জলদস্যু দমনে অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ।
আজ শনিবার সকাল থেকে সুন্দরবন এলাকায় বিভিন্ন নৌকা, ট্রলার ও লঞ্চ তল্লাশি করে বনদস্যু ও জলদস্যুদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সুন্দরবনের ভিতরে বনদস্যুতা ও জলদস্যুতাসহ সকল ধরনের অপরাধ দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ বাস্তবায়ন করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালিনী স্টেশন অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, সুন্দরবন, সুন্দরবনের প্রাণী, বনজীবী ও জেলেদের সুরক্ষার জন্য এ অভিযান চালানো হচ্ছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি সুন্দরবনে দস্যুতা বেড়ে যাওয়ায় কঠোরভাবে দস্যুতা দমনে এবং সুন্দরবনকে নিরাপদ রাখতে এ অভিযান শুরু হয়েছে। পাশাপাশি যেসব এলাকায় দস্যুতা বেড়ে গেছে সেসব এলাকায় বিশেষ টহল টিম কাজ করছে। দস্যুদের কঠোর হাতে দমন করা হবে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কাছিকাটা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম শাহীন জানান, বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন সুরক্ষায় বনবিভাগ অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলে, বাওয়ালি ও বনজীবীদের সুরক্ষায় এবং দস্যুদের নির্মূলের লক্ষ্যে শনিবার ভোর থেকে একটি চৌকস টিম সুন্দরবনের ভিতরে অভিযান শুরু করেছে। প্রয়োজনে যৌথ বাহিনীও এ অভিযানে অংশ নিবে। যাদের সন্দেহজনক মনে হচ্ছে তাদেরকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, জেলেদের নৌকায় বনদস্যুদের খাবারসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহন এবং তথ্য আদান-প্রদানের অভিযোগ রয়েছে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বনদস্যুদের সাথে কারও যোগাযোগের বিষয়টি নিশ্চিত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া জেলে ও অন্যান্য বনজীবীদের পাস-মারমিট ঠিক আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. ফজলুল হক জানান, সাধারনত সুন্দরবনের ভিতরে বনবিভাগের তিনটি টিম নিয়মিত টহল পরিচালনা করে থাকেন। শনিবার সকাল থেকে আরো দু’টি বিশেষ টিম নামানো হয়েছে। সুন্দরবনের অভায়রন্যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর কর্মকান্ড যাতে না হয়, সে দিকে সর্বোচ্চ নজর রাখা হচ্ছে।