বাসস
  ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৫৮
আপডেট : ২২ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৬

ভেরেনির সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড দক্ষিণ আফ্রিকার


ঢাকা, ২২ অক্টোবর ২০২৪ (বাসস) : মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১০৬ রানের জবাবে কাইল ভেরেনির সেঞ্চুরির উপর ভর করে ৩০৮ রানে অলআউট হয়েছে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ২০২ রানের লিড পেয়েছে প্রোটিয়ারা। ভেরেনি ১১৪ রান করেন।  

টেস্টের প্রথম দিন বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হবার পর ব্যাট করতে নেমে দিন শেষে ৬ উইকেটে ১৪০ রান করেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৪ রানে এগিয়ে ছিলো প্রোটিয়ারা। ভেরেনি ১৮ ও ওয়াইন মুল্ডার ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেছিলেন ভেরেনি ও মুল্ডার।

দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেও বাংলাদেশ বোলারদের উপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলে জুটিতে শতরান পূর্ণ করেন ভেরেনি ও মুল্ডার। এসময় টেস্টে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ভেরেনি।  

ইনিংসের ৬০তম ওভারে বাংলাদেশ স্পিনার নাইম হাসানের বলে শর্ট লেগে মোমিনুল হককে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান মুল্ডার। ব্যক্তিগত ৪৭ রানে জীবন পেয়ে টেস্টে প্রথম অর্ধশতক করেন তিনি।

৬৫তম ওভারে বাংলাদেশকে জোড়া সাফল্য এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। ওভারের পঞ্চম বলে সাদমান ইসলামের ক্যাচে মুল্ডারকে বিদায় দেন হাসান। ৮টি চারে ১১২ বলে ৫৪ রান করেন মুল্ডার।

পরের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইংয়ে কেশব মহারাজকে বোল্ড করেন হাসান। হ্যাট্টিকের সুযোগ পেয়েও, কাজে লাগাতে পারেননি হাসান।

সপ্তম উইকেটে ভেরেনি ও মুল্ডার ২০০ বলে ১১৯ রানের জুটি গড়েন। টেস্টে সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রান। আগেরটি ছিলো ২০২২ সালে। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে সপ্তম উইকেটে ৮০ রান যোগ করেছিলেন মহারাজ ও মুল্ডার।

এছাড়াও সপ্তম বা পরের দিকের উইকেট বিবেচনায় এশিয়ার মাটিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড প্রোটিয়াদের সাবেক দুই ক্রিকেটার গ্যারি কার্স্টেন ও প্যাট সিমক্সের দখলে। ১৯৯৭ সালে ফয়সালাবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে অষ্টম উইকেটে ১২৪ রান করেছিলেন তারা।

দলীয় ২২৭ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর ড্যান পিটকে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন ভেরেনি। অষ্টম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়ার পথে ১৯ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ভেরেনি। এশিয়ার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে শতক করলেন ভেরেনি। আগের দু’জন ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও কুইন্টন ডি কক। ২০১৩ সালে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্স এবং ২০১৯ সালে বিশাখাপত্তমে ভারতের বিপক্ষে শতক হাঁকিয়েছিলেন ডি কিক।  

ভেরেনির সেঞ্চুরির পর স্পিনার মিরাজের প্রথম শিকার হন ২টি চারে ৩২ রান করা পিট। এরপর শেষ উইকেটে কাগিসো রাবাদার সাথে ১৫ রান যোগ করে ভেরেনি।

ব্যক্তিগত ১১৪ রানে ভেরেনিকে স্টাম্প আউট করে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ৩০৮ রানে শেষ করেন মিরাজ। ১৪৪ বল খেলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ভেরেনি। ২ রানে অপরাজিত থাকেন রাবাদা।

বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ১২২ রানে ৫টি, হাসান ৬৬ রানে ৩টি এবং মিরাজ ৬৩ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের প্রথম দিনই ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল।