অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদারে ফিলিপাইন দূতাবাস কাজ করছে: রাষ্ট্রদূত

বাসস
প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৭
বুধবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট। ছবি: বাসস

চট্টগ্রাম, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস): ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট বলেছেন, বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এই সম্পর্ক এখনো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় পৌঁছায়নি। তাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে ফিলিপাইন দূতাবাস কাজ করছে। 

বুধবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। 

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র  সভাপতিত্বে ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল এম. এ. আউয়াল, চেম্বারের সাবেক পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, লুব-রেফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, ট্রাস্টেড শিপিং লাইন্স লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক ওয়াহিদ আলম, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর পরিচালক শাফায়েত আলম, বিএসআরএম গ্রুপের ইমরান শেখ ও মোহাম্মদ মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন। 

রাষ্ট্রদূত বলেন, ফিলিপাইন টেকনিক্যাল সেক্টর বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, মেডিকেল যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব যানবাহন এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ ফিলিপাইনের সাথে কাজ করতে পারে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে ফিলিপাইন-বাংলাদেশ চেম্বারের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। 

তিনি বলেন, কৃষি পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে বিশ্বব্যাপী ফিলিপাইনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাই বাংলাদেশ ফিলিপাইন থেকে হালাল খাদ্যপণ্য আমদানির অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনা করতে পারে। ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের সাথে দক্ষিণ দক্ষিণ সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত।

চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, বাংলাদেশের সাথে ফিলিপাইনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ২০২৩ সালে ৯৪ কোটি ৮০ লক্ষ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। 

আবার ফিলিপাইন থেকেও বাংলাদেশে ৩৮ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের পণ্য আমদানি হয়। 

তিনি বলেন, বাংলাদেশে পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন হলেও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। 

অন্যদিকে ফিলিপাইন খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণে অনেক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে প্রযুক্তিগত জ্ঞান শেয়ার করার আহ্বান জানান চেম্বার প্রশাসক। একই সাথে ভৌগোলিক অবস্থানগত গুরুত্ব বিবেচনায় বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ফিলিপাইনের বিনিয়োগকারীদের একক ও যৌথ বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে ফিলিপাইন দূতাবাসের ভাইস কনসাল লিন আর. গুতেরেস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর্থার এল. ব্লাস, ইস্টার্ন লজিস্টিকস এর চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মেজবাহ উদ্দিন, ফিলিপাইন কনস্যুলেট চট্টগ্রামের চিফ অব স্টাফ শেখ হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও চেম্বার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চাই’
ভোটারদের কাছে বিনয়ের সাথে ভোট চাইতে হবে : ডা. জাহিদ
আজ ছিল ভয়াল সিডর দিবস 
বৈশ্বিক ইন্টারনেট স্বাধীনতার সূচকে ভারতের কাছাকাছি বাংলাদেশ
বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে : তথ্য উপদেষ্টা
রাজধানীর মিরপুরে ‘মুক্তি তোরণ’ উদ্বোধন করলেন ডিএনসিসি প্রশাসক
কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কার অপরিহার্য : আখতার হোসেন
দ্য সোল অব জুট : ক্রাফট, কালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড ইনোভেশন প্রদর্শনী শুরু ১৭ নভেম্বর
সুদানে অর্ধেকের বেশি মানুষের মানবিক সাহায্য প্রয়োজন
নারায়ণগঞ্জের আলোর বাতিঘর ‘সুধীজন পাঠাগার’
১০