গত অর্থবছরে খুলনা কর অঞ্চল ৩ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা আয়কর আদায় করেছে

বাসস
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৩৬

খুলনা, ১৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা কর অঞ্চল ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১১ লাখ ১১ হাজার ৯৯১ জন করদাতার কাছ থেকে  আয়কর বাবদ ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ৮ লাখ টাকা আদায় করেছে। যা আগের বছরের তুলনায় ৪২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি। 

তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২২টি সার্কেল থেকে ৫ হাজার ৫১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল খুলনা কর অঞ্চল। 

খুলনা কর অঞ্চলের উপ-কর কমিশনার দেলোয়ারা জাহান আজ জানান, এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫ হাজার কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে কর আদায় হয়েছিল ৩ হাজার ৫৬৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সে সময় করদাতার সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৯২ হাজার ৫৫২ জন। 

তিনি বলেন, ‘কর আদায়ে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। করদাতা বাড়াতে নানা রকম সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘২০২৪-২৫ সালে ৫ হাজার ৫১০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য ছিল, কিন্তু আদায় হয়েছে ৩ হাজার ৯৯০ কোটি ৮ লাখ টাকা। তারপরও ৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ এর তুলনায়  ২০২৪-২৫ অর্থবছরে করদাতার সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যা সম্ভব হয়েছে কর দপ্তরের নানা ধরনের উদ্যোগের ফলে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৪ লাখ ৯ হাজার ৯৪৪টি রিটার্ন জমা পড়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ২০ হাজার ২৪৫টি বেশি।

তিনি বলেন, ‘ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম (আইবাস) এন্ট্রির কারণে চূড়ান্ত হিসাব এখনও হয়নি। আয়কর আদায়ের পরিমাণ চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।’

লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পাঁচ হাজার কোটির মতো বড় লক্ষ্য নির্ধারণ সঠিক ছিল না। আগের সরকারের সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা ও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতসহ বৈশ্বিক নানা কারণে এমন লক্ষ্য বাস্তবসম্মত ছিল না।’

বেশ কয়েকজন কর বিশেষজ্ঞ ও কর আইনজীবী বাসস’কে বলেন, নিয়মিত আয়কর না দেওয়া ‘টিআইএন’ ধারীদের সনদ দেওয়ার বিধান বন্ধ করতে দ্রুত আইন সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় বহু টিআইএনধারীকে করদাতা তালিকায় পাওয়া যায়নি।

তারা বলেন, এর আগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের থেকে আয়কর বাড়ানোর জন্য ‘আয়কর মেলা’সহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক মূল্যায়নের মাধ্যমে কর আদায় করার চেষ্টা করেছেন। 

খুলনা কর অঞ্চলের ৫টি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ও দীর্ঘমেয়াদি ৭৭ করদাতাকে সম্মাননা দেয় এনবিআর। তবে চলতি অর্থবছরে করদাতাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন উপ-কর কমিশনার।

তিনি বলেন, ‘ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও কর কর্মকর্তাদের সঙ্গে করদাতার সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে কর আদায় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।’

তিনি জানান, খুলনা কর অঞ্চলে যশোর, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহ জেলা রয়েছে। এ অঞ্চলে পাটকল, চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ও ইটভাটাসহ অনেক বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যা কর আদায়ে বড় ভূমিকা রাখছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
ঢাকা জেলা পরিষদের বাস্তবায়নাধীন ভবনের নথি গায়েব : দুদকের অভিযান
‘আমরা জুলাই বিক্রি করি না, কাউকে বিক্রি করতেও দেবো না’
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নাম প্রস্তাব করলেন জেলেনস্কি
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে মিশরীয় উদ্যোক্তাদের আমন্ত্রণ জানালেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান
মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবালের কর্ণধার খায়রুল বাশার গ্রেফতার
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদারে আগ্রহী সৌদি আরব  
জয় ও পুতুলের নথি চেয়ে এনবিআরকে চিঠি দিল দুদক
সবুজ জ্বালানিতে চীনের সঙ্গে ‘ন্যায্য প্রতিযোগিতা’ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন
এইচপি ও ডেভলপমেন্ট কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করেছেন বিসিবি সভাপতি
নারী ও শিশুদের জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: মৎস্য উপদেষ্টা
১০