ঢাকা, ১৭ জুলাই, ২০২৫(বাসস) : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) নতুন অপারেটিং মডেল (এনওএম)- এর মাধ্যমে চালু হওয়া উচ্চাভিলাষী সংস্কারগুলো আন্তঃআঞ্চলিক সহযোগিতা এবং দেশভিত্তিক কার্যক্রমকে জোরদার করার ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখাচ্ছে।
তবে এই সংস্কারকে সফল করতে আরও সহজতর যোগাযোগ, সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়া এবং বাস্তবায়নে অধিক অন্তর্ভুক্তিমূলক পন্থার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে এডিবির স্বাধীন মূল্যায়ন বিভাগ (আইইডি)।
২০২৩ সালের জুনে চালু হওয়া এনওএম- এর লক্ষ্য ছিল এডিবিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিবর্তনশীল উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও কার্যকরভাবে প্রস্তুত করা।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি এনওএম- এর কাঠামো ও প্রাথমিক বাস্তবায়ন পর্যায়ে চারটি মূল পরিবর্তন (সমাধান ভিত্তিক পন্থা, কর্মপদ্ধতি, বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন) নিয়ে কেন্দ্রীভূত ছিল, যা বাস্তব-সময়ে শেখা এবং কৌশলগত পুনর্বিন্যাসে সহায়ক হবে। এডিবি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইইডি’র মহাপরিচালক ইমানুয়েল হিমেনেজ বলেন, ‘ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যে সাংগঠনিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে এডিবি সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, তা ছিল সুদূরপ্রসারী। তবে সত্যিকার অর্থে রূপান্তর নিশ্চিত করতে হলে স্পষ্ট দিকনির্দেশনা ও কর্মীদের সঙ্গে দ্বিমুখী খোলামেলা যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনওএম একদিকে যেমন আন্তঃদেশীয় সহযোগিতা এবং অনেক আন্তর্জাতিক কর্মীর জন্য পেশাগত বিকাশের নতুন পথ খুলে দিয়েছে, তেমনি কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত জটিলতাও তৈরি করেছে।
স্থানীয় কর্মীদের মতামত থেকে জানা গেছে, পদায়ন এবং কাজের সমন্বয়ের ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতা ছিল মিশ্র, এবং অতিরিক্ত সমন্বয় প্রয়োজনীয়তা প্রশাসনিক চাপ বাড়িয়েছে।
মূল্যায়ন দলের প্রধান এরিক ব্লুম বলেন, ‘কর্মীরা জানিয়েছেন, এনওএম আন্তঃদেশীয় কাজ ও জ্ঞান ভাগাভাগিকে উৎসাহ দেয় বটে, কিন্তু বর্তমানে কাঠামোটি প্রায়ই কার্যপ্রবাহকে ধীর করে দেয় এবং জবাবদিহিতা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে।
এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মূল্যায়ন প্রতিবেদনে শুরুতেই কিছু ইতিবাচক দিক লক্ষ্য করা গেছে, বিশেষ করে জলবায়ু সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অঞ্চলভিত্তিক সমন্বয় জোরদারে। তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও গুণগত মান নিশ্চিতকরণ ব্যবস্থায় বিদ্যমান ঘাটতি দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনটি পাঁচটি ভবিষ্যতমুখী সুপারিশ দিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: এনওএম-এর কার্যপরিধি ও সময়সীমা হালনাগাদ করা, প্রণোদনা কাঠামোকে কর্পোরেট লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য করা এবং অনুমোদন ও জবাবদিহিতা ব্যবস্থা সহজ করা।