ঢাকা, ২০ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : গোপালগঞ্জে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জীবিতেষ বিশ্বাস স্বাক্ষরিত আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ জেলায় অপ্রত্যাশিত ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের লাশ ময়নাতদন্ত না করার বিষয়ে কিছু সংবাদ মাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনদের বক্তব্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ময়নাতদন্ত না করে লাশ হস্তান্তর করেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।’
প্রকৃত ঘটনা এই যে, ‘ওইদিন ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর জরুরি বিভাগে আহত অবস্থায় একজন রোগী আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীটিকে মৃত ঘোষণার পর ময়নাতদন্ত শেষ করে লাশ নেয়ার কথা বললে রোগীর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে তারা জোর পুর্বক লাশ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বাকি মৃতদেহগুলোর স্বজনরা ময়নাতদন্ত করাতে রাজি হয় না এবং হাসপাতালে কর্মরত কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে জোর পুর্বক মৃতদেহ নিয়ে যায়।’
উল্লেখ্য এ সময় উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং চারিদিকে সংঘর্ষ চলমান থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসহায় বোধ করেন। এ ছাড়া আহত লোকজনের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ডাক্তার, নার্স, ওয়ার্ড বয় এবং অন্যান্য কর্মচারী আত্মনিয়োগ করায় এবং বাহিরের পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের সাথে যোগাযোগের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু পরবর্তীতে ঘটনা পুলিশকে মোবাইল ফোনে এবং লিখিতভাবে জানানো হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গোপালগঞ্জবাসীর স্বাস্থ্য সেবায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল পরিবার সর্বদা নিয়োজিত। আশা করি উল্লিখিত বিবৃতির মাধ্যমে জনমনে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে।’