শিরোনাম
ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদের রাজধানী এন’জামেনায় বুধবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলায় ১৮ বন্দুকধারী এবং প্রাসাদের একজন নিরাপত্তা কর্মীসহ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছে। চাদ সরকার এ তথ্য জানিয়েছেন।
চাদের রাজধানী এন'জামেনা থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
এএফপির সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলের কাছে গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং রাস্তায় ট্যাঙ্ক চলাচল করতে দেখতে পেয়েছেন। অন্যদিকে নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে সশস্ত্র ব্যক্তিরা কমপ্লেক্সটিতে ঢুকে পড়ার চেষ্টা করছিল।
ঘটনার পর চাদ সরকার জানিয়েছে, এই হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১৮ জন ২৪-শক্তিশালী কমান্ডো ইউনিটের সদস্য, যারা আক্রমণ করেছিল।
চাদ সরকারের মুখপাত্র এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদেরামান কৌলামুল্লাহ এএফপিকে জানিয়েছেন, হামলাকারীদের মধ্যে ১৮ জন নিহত এবং ছয়জন আহত হয়েছেন এবং আমাদের একজন নিরাপত্তা কর্মী নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। আহতের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
গুলি চালানোর কয়েক ঘন্টা পর, তার ফেসবুকে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কোমরের বেল্টে বন্দুকসহ সৈন্যদল পরিবেষ্টিত কৌলামাল্লাহ বলেন, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অস্থিতিশীলতার প্রচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে।
একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, আক্রমণকারীরা বোকো হারাম জিহাদি গোষ্ঠীর সদস্য, কিন্তু কৌলামাল্লাহ পরে বলেন যে তারা ’সম্ভবত সন্ত্রাসী নয়’, তারা মাতাল ছিল।
তিনি বলেছেন, বন্দুকধারীরা প্রেসিডেন্টশিয়াল ভবনে প্রবেশের আগে চারজন রক্ষীর উপর আক্রমণ করে, যেখানে তাদের সহজেই পরাজিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন যে, বেঁচে থাকা আক্রমণকারীরা পুরাপুরি মাদকাসক্ত ছিল।
বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে যে বুধবার রাত ৭:৪৫ (১৮৪৫ জিএমটি) সময় একটি সশস্ত্র কমান্ডো ইউনিট প্রেসিডেন্সির ভেতরে গুলি চালায়, তারপর প্রেসিডেন্টের রক্ষীরা তাদের ধরে ফেলে।
গোলাগুলির কয়েক ঘন্টা আগে, চাদের প্রেসিডেন্ট মাহমাত ইদ্রিস ডেবি ইটনো চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করেন।
ডেবি তার বাবার মৃত্যুর পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন, যিনি তিন দশক ধরে কঠোর হাতে দেশ শাসন করেছিলেন।
মরুভূমির এই দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশ হলেও জাতিসংঘের মানব উন্নয়ন সূচকে নিচ থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে।