শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস ইতিহাসের ভয়াবহ দাবানলে ৯ দিন ধরে জ্বলছে। দাবানলে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ২৫ জন। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কয়েকজন। এদিকে, স্থানীয় সময় বুধবার থেকে শুরু হওয়া ‘সান্তা অ্যানা’ নামের ঝড়ো বাতাসে আগুন নিয়ন্ত্রণে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা। এর মধ্যেই ‘আগুনের টর্নেডোর’ আশঙ্কা করছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা।
লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল শুরু হয় ৭ জানুয়ারি। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকায়। এরমধ্যে ছোট-বড় প্রায় ১২টি দাবানলের ঘটনা ঘটে। আগুনে অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত প্যাসিফিক প্যালিসেডসের বাসিন্দাদের প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বিলাসবহুল বাড়িঘর ও স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
এছাড়া প্যালিসেডসের ৪০ কিলোমিটার পূর্বে আলটাডেনা এলাকার ইটনে পুড়ে গেছে আরো পাঁচ হাজারের বেশি স্থাপনা। এই দুই এলাকার আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এই দুই এলাকায় এখনো ৪০ হাজার একর জমি জ্বলছে।
এমন পরিস্থিতিতে ‘সান্তা অ্যানা’ নামে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করায় আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দফতরের এক বার্তায় বলা হয়েছে, দাবানল ছড়িয়ে পড়া এলাকায় বাতাসের তীব্রতা বেশি ও খুবই শুষ্ক। এই দুইয়ে মিলে সৃষ্টি হয়েছে বিপজ্জনক পরিস্থিতি। এতে দেখা দিতে পারে নতুন করে আরো ভয়াবহ দাবানল।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বর্তমান চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়ায় ‘আগুন টর্নেডো’ সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
গত আট মাস ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় দাবানলের কারণে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বাতাসের মান ও গতি আরও খারাপের দিকে। সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘সর্বোচ্চ সতর্কতা’ জারি করে এই অঞ্চলে আরো এক সপ্তাহ তীব্র বাতাস বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে জাতীয় আবহাওয়া দফতর।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসের দমকল বাহিনীর প্রধান ক্রিস্টিন ক্রাউলি সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো থেকে দমকলকর্মীরা লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই শহরের লাখো মানুষ দাবানলের কারণে এখনো বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হতে আরো অনেক সময় লাগবে।
এদিকে শিশুদের স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে।
প্যাসিফিক-প্যালিসেডসের বিশিষ্ট ধনকুবদের বিলাসবহুল বাড়ি ঘরসহ ১২ হাজারেরও বেশি অবকাঠামো আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি করোনার সংস্থার হিসেবে এই পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ডগ স্কোয়াডের সদস্যরা কয়েকশ’ ভবনে তল্লাশি চালিয়ে জানিয়েছে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।