ঢাকা, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কৃত ভেনিজুয়েলান অভিবাসীদের আটকে রাখার জন্য অর্থ গ্রহণ করায় সালভাদরের প্রেসিডেন্টকে ‘মানব পাচার’-এর দায়ে অভিযুক্ত করেছেন ভেনিজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ বিষয়ে এএফপিকে কারাকাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক উইলিয়াম সাব বলেন, ‘তিনি মানব পাচারের অপরাধ করছেন... তিনি এই ভেনিজুয়েলানদের সালভাদরে বন্দি করে রাখার জন্য ৭ মিলিয়ন ডলার নিচ্ছেন।’ তিনি এটিকে ‘একটি নোংরা ব্যবসা’ বলেও মন্তব্য করেন।
সাব আরও বলেন, ‘এই ইস্যুতে বুকেলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার হবে।’
ভেনিজুয়েলানদের সালভাদরে নির্বাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭৯৮ সালের প্রাচীন ‘এলিয়েন এনিমিজ অ্যাক্ট’ আইনের আওতায় একটি নির্বাসন আদেশ জারি করেন। এতে ২৫২ জন ভেনিজুয়েলানকে ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ নামক গ্যাংয়ের সদস্য দাবি করে সালভাদরে পাঠানো হয়।
যদিও মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এ ধরনের ব্যাখ্যায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবুও সালভাদর তাদেরকে দেশটির উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন মেগা-কারাগার সিসিইওটিতে আটকে রেখেছে এবং এর বিনিময়ে ৬ মিলিয়ন ডলার পেয়েছে।
এই ঘটনাটি সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মধ্যে ক্রমবর্ধমান টানাপোড়েনের সর্বশেষ বহিঃপ্রকাশ।
গত রোববার বুকেলে জানান, মাদুরো-বিরোধী ভিন্নমতাবলম্বীদের মুক্তি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর বিনিময়ে তিনি ভেনেজুয়েলার অনুরোধে সাড়া দিতে প্রস্তুত।
তবে সাব সেই প্রস্তাবকে ‘নির্লজ্জ’ বলে অভিহিত করেন এবং আটক ভেনিজুয়েলানদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা দাবি করেন।
আটকদের পরিবারের সদস্যদের অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁদের আত্মীয়রা কখনো ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’ গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন না। মার্কিন কর্তৃপক্ষ যেসব উল্কিচিহ্ন (ট্যাটু) দেখিয়ে তাদের নির্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেগুলোর কোনো মানে নেই।
গ্যাংবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও লেখক রোনা রিসকেজ বলেন, ‘এই গ্যাংয়ের কোনো নির্দিষ্ট উল্কিচিহ্ন নেই, তাই উল্কির ভিত্তিতে সদস্য চেনা যায় না।’