অস্ত্রত্যাগের আহ্বানের পর বৈরুত সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট

বাসস
প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ১২:১৩

ঢাকা, ৭ মে ২০২৫ (বাসস) : ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২১ মে লেবানন সফরে যাবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন লেবাননের এক সরকারি কর্মকর্তা। সফরে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোয় বৈরুতের কর্তৃত্ব বিস্তারের বিষয়ে আলোচনা হবে। আব্বাসের দপ্তর থেকেও সফরের তারিখ নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈরুত থেকে এএফপি জানায়, এই সফর এমন সময় হতে যাচ্ছে, যখন লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আওন গত মাসের শেষদিকে জানিয়েছেন, সরকার 'লেবাননের সব ভূখণ্ড থেকে (অননুমোদিত) ভারী ও মাঝারি অস্ত্র প্রত্যাহারে' কাজ করছে। তিনি বলেন, শিবিরগুলোর নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টি তিনি আব্বাসের সঙ্গে তুলবেন।

সরকারি ওই কর্মকর্তা, যিনি গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমোদিত নন এবং পরিচয় গোপন রাখার শর্তে কথা বলেন, জানান—আব্বাস ও লেবাননের নেতারা ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরগুলোসহ লেবাননের সব ভূখণ্ডে 'রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব বিস্তারের' বিষয়ে আলোচনা করবেন।

প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, লেবাননের সেনাবাহিনী সাধারণত ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে না। এসব শিবিরে আব্বাসের ফাতাহ আন্দোলন, সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের অস্তিত্ব রয়েছে, যারা নিজেরাই নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে।

গাজা যুদ্ধ ঘিরে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ও তাদের লেবাননভিত্তিক মিত্র হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরাইলের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের মধ্যে হামাস লেবানন থেকে ইসরাইল লক্ষ্য করে চালানো হামলার দায় স্বীকার করেছে।

গত নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি এই সংঘাত অনেকটাই থামিয়ে দিলেও ইসরাইল এখনো লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা সাধারণত হিজবুল্লাহর সদস্য ও অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু বানালেও কখনো কখনো হামাস সদস্য বা অন্য মিত্রদেরও লক্ষ্য করে।

চলতি বছরের ২২ ও ২৮ মার্চ লেবানন থেকে ইসরাইল লক্ষ্য করে রকেট নিক্ষেপের পর কেউ দায় স্বীকার না করলেও, ইসরাইল দক্ষিণ লেবানন ও ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত  বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরে পাল্টা হামলা চালায়। তবে হিজবুল্লাহ ওই হামলার দায় অস্বীকার করেছে।

লেবাননের শীর্ষ নিরাপত্তা সংস্থা ‘হায়ার ডিফেন্স কাউন্সিল’ হামাসকে দেশটি ব্যবহার করে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা না চালানোর বিষয়ে সতর্ক করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নাওয়াফ সালাম বলেছেন, অবৈধ অস্ত্রসমূহ হস্তান্তর করতে হবে এবং হামাসসহ অন্যান্য গোষ্ঠী যেন 'দেশের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্থিতিশীলতা ক্ষুণ্ন করতে না পারে', তা নিশ্চিত করতে হবে।

এরপর থেকে লেবাননের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা মার্চে রকেট হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে, যাদের হামাস সদস্য হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।

গত মাসে সেনাবাহিনী আরও জানায়, রকেট হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজন লেবাননি ও ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে তিনজন হামাস সদস্য।

প্রেসিডেন্ট আব্বাস ২০১৭ সালে সর্বশেষ লেবানন সফরে গিয়েছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
লেবাননের প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
শিল্পে উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গ্যাস সরবরাহ করা হবে : জ্বালানি উপদেষ্টা
ঐকমত্য কমিশনের সাথে নাগরিক ঐক্যের বর্ধিত আলোচনা অনুষ্ঠিত
সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে সভ্যতা বিনির্মাণে প্রতিনিয়ত অবদান রেখে যাচ্ছেন প্রকৌশলীরা: কাদের গনি চৌধুরী
জুলাই বিপ্লবে শহীদ আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মামলা
প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ শুরু ১০ মে
শ্রম পরিদর্শন ও বিভাগের কার্যাবলী সম্পূর্ণরূপে ডিজিটালাইজড করা হবে : শ্রম সচিব
চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো আরেক আসামি গ্রেফতার
ইসরাইলের ছাড়া সব জাহাজের জন্য জলপথ নিরাপদ: হুথি
ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বন্ধে ‘সংলাপে’র আহ্বান যুক্তরাজ্যের
১০