ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস): গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, ইসরাইলি হামলায় বুধবার গাজা ভূখণ্ডে ৩৩ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ১১ জন ত্রাণ নিতে আসা সাধারণ মানুষ।
সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসসাল এএফপিকে জানান, মধ্য গাজায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া হাজারো মানুষের ওপর ‘দখলদার বাহিনী গুলি ও শেল নিক্ষেপ করলে’ ১১ জন নিহত এবং একশ’রও বেশি মানুষ আহত হন।
এ বিষয়ে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানায়, মধ্য গাজায় তারা ‘একটি সন্দেহভাজন গোষ্ঠীকে শনাক্ত করে ‘সতর্কতামূলক গুলি’ চালিয়েছে, যারা বাহিনীর জন্য সম্ভাব্য হুমকি তৈরি করে এগিয়ে আসছিল। তবে হতাহতের বিষয়ে তারা অবগত নয়।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, বুধবার আরও তিনটি পৃথক হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। এতে বসতবাড়ি ও আশ্রয়প্রার্থী লোকজনের তাবু লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
ইসরাইলি বাহিনী জানায়, হামাসের সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করতেই তারা এ হামলা চালাচ্ছে।
বুধবার গাজা শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক এলাকায় ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন বলে জানান বাসাল।
গাজার অনেক এলাকায় সাংবাদিক প্রবেশে বাধা এবং তথ্য যাচাইয়ের জটিলতার কারণে নিহতের সংখ্যা ও ঘটনার বিস্তারিত স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি এএফপি।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানায়, মঙ্গলবারও খান ইউনিসে ত্রাণ সহায়তা নিতে জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হন।
ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় গঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) মে মাসের শেষ দিকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করলেও তা বিশৃঙ্খলা ও প্রাণহানিতে জর্জরিত হয়ে পড়েছে।
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রধান মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। কারণ এটি ইসরাইলি সামরিক স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে বলে তাদের আশঙ্কা।
তবে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য বিষয়ক সংস্থা-ওসিএইচএ মঙ্গলবার জানায়, এখন সহিংসতার ঘটনা শুধু জিএইচএফের পরিচালিত এলাকায় নয়, বরং জাতিসংঘের রুটেও ঘটছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ ইসরাইল পুনরায় গাজায় হামলা শুরু করার পর এখন পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৩৪ জন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধের পুরো সময়ে গাজায় মোট নিহত হয়েছেন ৫৫ হাজার ৬৩৭ জন।