ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই, মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে জাপানের মোটরগাড়ি রপ্তানি প্রায় এক চতুর্থাংশ কমে গেছে বলে বুধবার প্রকাশিত সরকারি তথ্য থেকে জানা গেছে। যদিও টোকিও ও ওয়াশিংটনের মধ্যে এখনো কোনো বাণিজ্য চুক্তি হয়নি।
টোকিও থেকে এএফপি জানিয়েছে, জাপানের মোটরগাড়ি শিল্পে প্রায় আট শতাংশ কর্মসংস্থান জড়িত। দেশতে বিশ্বের শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা টয়োটা, হোন্ডা, নিসানসহ অন্যান্য শীর্ষ কোম্পানির আবাসস্থল।
জাপান ২৫ শতাংশ আমেরিকান যানবাহন শুল্ক এবং অন্যান্য বাণিজ্য শুল্ক থেকে অব্যাহতি চাইলেও ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক দফা আলোচনা সত্ত্বেও কোনো সমঝোতা হয়নি।
মে মাসে টানা দ্বিতীয় মাসের মতো দেশটি বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়ে জাপান। যেখানে রপ্তানির তুলনায় আমদানি ৬৩৭.৬ বিলিয়ন ইয়েন (৪.৪ বিলিয়ন ডলার) বেশি হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে মোট রপ্তানি প্রায় ১১ শতাংশ কমেছে এবং গাড়ি রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ২৪.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
জি৭ সম্মেলনের পর কানাডায় সাংবাদিকদের জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক শুল্ক ব্যবস্থা, যা বিশ্বের জিডিপির প্রায় এক-চতুর্থাংশ এবং জাপানের রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ প্রতিনিধিত্ব করে, তা অনেক জাপানি কোম্পানির মুনাফায় আঘাত হানছে।”’
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, এটি জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির উপর সরাসরি ও পরোক্ষভাবে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে।
সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসেন ইশিবা। তবে আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
তিনি বলেন, যেহেতু এখনো কিছু বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে, তাই এখনো আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তিতে পৌঁছাতে পারিনি। আমার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেছি। এছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রিসভার সদস্যদের মাধ্যমে আমরা আলোচনা এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছি।
মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জাপানের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ৪.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গত পাঁচ মাসের মধ্যে এটি প্রথম সংকোচন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি ১৩.৫ শতাংশ কমেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র ও বৃহৎ বিনিয়োগকারী জাপান। অন্যান্য দেশের মতোই ১০ শতাংশ বেসলাইন শুল্ক এবং গাড়ি, স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর অতিরিক্ত শুল্কের আওতায় পড়ছে।
এপ্রিলের শুরুতে ট্রাম্প জাপানের উপর ২৪ শতাংশ ‘পারস্পরিক’ শুল্ক ঘোষণা করলেও পরে তা স্থগিত করেন। যেমনটি তিনি অন্য কিছু দেশের ক্ষেত্রেও করেছেন।