ঢাকা, ২৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসানে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ায়, বুধবার বিশ্বের অধিকাংশ শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। এর ফলে মার্কিন সুদের হার হ্রাসের প্রত্যাশায় ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
তবে মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সতর্কতা থাকায় তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে, যদিও তা এখনো সোমবারের সর্বোচ্চ দামের তুলনায় অনেক নিচে রয়েছে।
হংকং থেকে এএফপি জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার কয়েকদিন পর যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প দাবি করেন, এসব স্থাপনাগুলো “সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে।
ইসরাইলি সরকার জানিয়েছে যে, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে তাদের সমস্ত লক্ষ্য অর্জনের পর, তারা মার্কিন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ১২ দিনের বোমা হামলার পর, ঐতিহাসিক বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
খবরটি প্রকাশের পর শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয় ও তেলের দাম কমে যায়।
বুধবার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে হংকং, সাংহাই, সিডনি ও সিঙ্গাপুর এশিয়া জুড়ে লাভের শীর্ষে থাকে। তবে, টোকিওন শেয়ারবাজার কমে যায়।
তবে, ইরানে মার্কিন বোমা হামলার প্রথম প্রতিক্রিয়া ও যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আগে সোমবার যে সর্বোচ্চ ছিল তার তুলনায় এখনও প্রায় ১৬ শতাংশ কম।
ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল মার্কিন কংগ্রেসে এক শুনানিতে বলেন, ‘যদি দেখা যায়, মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে, তাহলে আমরা শিগগিরই সুদের হার কমাতে পারব।’
যদিও তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে, আমাদের তাড়াহুড়ো করার দরকার আছে, কারণ অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী, তবুও তার মন্তব্যে একটি নমনীয় মনোভাবের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
এর আগে, ফেড গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার ও মিশেল বোম্যানও আগামী মাসে সুদের হার কমানোর পক্ষে মত দেন।
এ সব কারণে ডলারের মান ইউরো, পাউন্ড ও ইয়েনের বিপরীতে পড়ে যায়।
এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের স্টিফেন ইনেস বলেন, বাজারে পুরোপুরি ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা ফিরে এসেছে। ফলে তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে। সুদের হার কমানোর প্রত্যাশা আরও জোরালো হয়েছে, যার প্রভাবে বৈশ্বিক শেয়ারবাজার আকাশচুম্বী উচ্চতায় পৌঁছে গেছে।