ঢাকা, ২৭ জুন, ২০২৫ (বাসস) : কোভিড-১৯ মহামারির উৎপত্তি কীভাবে হয়েছিল, সে বিষয়ে সব ধরনের সম্ভাবনাই এখনও উন্মুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা জানায়।
ডব্লিউএইচওর তথ্যমতে এই বৈশ্বিক মহামারিতে আনুমানিক ২ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে।
জেনেভা থেকে এফপি জানায়, কোভিড-১৯ সৃষ্টিকারী ভাইরাস সারস-কোভ-২ কোথা থেকে এসেছে- এটি জানা ভবিষ্যৎ মহামারির ঝুঁকি প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। ২০২০ সালের মার্চে ডব্লিউএইচও এটিকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে।
ভাইরাসটির উৎস অনুসন্ধানে ডব্লিউএইচও সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইজরি গ্রুপ ফর দি অরিজিনস অব নোভেল প্যাথোজেন (এসএজিও) নামে একটি বৈজ্ঞানিক পরামর্শক দল গঠন করে। এটি যথাসম্ভব তথ্য অনুসন্ধান করেছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, এই অনুসন্ধান কিছু অগ্রগতি অর্জন করলেও এখনো অনেক তথ্য অনুপস্থিত রয়ে গেছে, যা সব সম্ভাবনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়নের জন্য প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একাধিক অনুরোধ সত্ত্বেও চীন এখনও সংক্রমণের প্রথম দিকে কোভিডু১৯ আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত শত শত ভাইরাস জিনোম সিকোয়েন্স দেয়নি। উহানের বাজারগুলোতে বিক্রি হওয়া প্রাণীদের বিস্তারিত তথ্য এবং স্থানীয় গবেষণাগারে যে গবেষণা ও বায়োসেফটি বিষয়ক কার্যক্রম চলছিল, সেসব তথ্যও দেয়নি।’
তেদ্রোস আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও কোভিডু১৯ এর উৎপত্তি নিয়ে তদন্ত করেছে। আমরা সেই রিপোর্টগুলো দেখার অনুরোধও করেছি।’
‘বর্তমানে যেহেতু অনেক প্রশ্নের উত্তর অজানা, তাই প্রাণী থেকে মানুষের দেহে সংক্রমণ (জুনোটিক স্পিলওভার) কিংবা গবেষণাগার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার (ল্যাব লিক) মতো সব ধরনের সম্ভাবনাই খোলা রাখা উচিত।’
তেদ্রোস আরও বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে কোভিড-১৯-এর উৎপত্তি সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে, তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- এই তথ্য প্রকাশ করুন। কারণ, ভবিষ্যৎ মহামারি প্রতিরোধে এটি বিশ্বমানবতার সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।